ঠিকাদার পার্থ ও মিলনের বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনারের মামলা
সুনামগঞ্জের ২ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে আমল গ্রহনকারী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার আসামীরা হচ্ছেন সুনামগঞ্জ পৌরসভার স্টেশন রোডস্থ দিগন্ত ৩ নং বাসভবনের বাসিন্দা মৃত সুনীল পূরকায়স্থর পুত্র পার্থ সারথী পূরকায়স্থ ও নতুনপাড়া আবাসিক এলাকার নিলয় ৬১ নং বাসভবনের বাসিন্দা মৃত মনোরঞ্জন দে এর পুত্র মিলন কান্তি দে। এরা উভয়েই পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদার ও বাঁধের কাজে অনিয়ম দুর্নীতির দায়ে দুদক এর দায়েরকৃত মামলায় পলাতক রয়েছেন। শহরের হাছননগর আবাসিক এলাকার পূরবী ৪৫ নং বাসভবনের বাসিন্দা হাজী জালাল উদ্দিন এর পুত্র ব্যবসায়ী তারেক আহমেদ বাদী হয়ে গত ১৭ অক্টোবর এই মামলাটি দায়ের করেছেন। নেগোসিয়েল ইন্সট্রুমেন্ট এ্যাক্ট এর ১৩৮ ধারায় দায়েরকৃত সিআর ৪৭৫/২০১৭নং মামলায় উল্লেখ করা হয়,আসামী পার্থসারথী পূরকায়স্থ ও মিলন কান্তি দে ব্যবসায়ীক প্রয়োজনে ফেরত প্রদানের শর্তে তারেকের কাছ থেকে ৩৬ লাখ টাকা কর্জ নেন। পরবর্তীতে পাওনা টাকা ফেরত চাইলে আসামীরা টাকা দেই দিচ্ছি করে সময় ক্ষেপন করে। এবপর্যায়ে তারা সাউথইস্ট ব্যাংক লিঃ হেতিমগঞ্জ শাখা সিলেট এর যৌথ হিসাব নং ০০১১১০০০০৫৩১১ এর সবচ-৩০৯০১৩৯ নং চেকের মাধ্যমে গত ২১/৬/২০১৭ইং তারিখে যৌথ স্বাক্ষরে একটি পাওনাদার তারেক আহমদকে এশটি চেক প্রদান করে। তাদের প্রদেয় চেকটি নগদায়নের জন্য গত ৩১ জুলাই পূবালী ব্যাংক লিমিটেড এর মাধ্যমে জমা প্রদান করলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় চেকটি ডিজঅনার করত: ফেরত প্রদান করে। পরবর্তীতে ২০ ও ২৭ আগস্ট তাদেরকে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করিলে আসামীরা লিগ্যাল নোটিশের বিপরীতে মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন অবাস্তব কল্পকাহিনী লিখে ভ্রমাত্মক জবাব প্রদান করে। ফলশ্রুতিতে ভূক্তভোগী তারেক আহমদ বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। এদিকে দায়েরকৃত মামলায় বিজ্ঞ আদালত আসামীদের বিরুদ্ধে সমন জারীর আদেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাদীপক্ষের আইনজীবি এডভোকেট হুমায়ুন মঞ্জুর চৌধুরী।