হাওরে রক্ষা বাঁধে দূর্ণীতিঃ আরো ১৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে দুদক
হাওরে ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম দুর্নীতি ও গাফিলতির অভিযোগে এবার বিভাগীয় শাস্তির আওতায় আসছেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্ম সচিবসহ ১৩ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। এ ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সুপারিশ আমলে নিয়ে ওই কর্মকর্তাদের অভিযোগের বিষয়ে দুদকের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য চেয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। তথ্য-প্রমাণসহ অভিযোগনামা তৈরি করে তা শিগগির মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হবে বলে জানায় দুদকের সংশ্লিষ্ট সূত্র। এ প্রসঙ্গে দুদকের গণসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবসহ ১৩ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে চিঠি দিয়েছিল দুদক। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্টদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য চেয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, যে ১৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদক বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছিল তারা হলেন : পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ড. মোহাম্মদ আলী খান, যুগ্ম সচিব (উন্নয়ন-১, হাওর) নুজহাত ইয়াসমিন, যুগ্ম প্রধান (পরিকল্পনা অনু বিভাগ) মন্টু কুমার বিশ্বাস, পাউবোর মহাপরিচালক প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর কবির ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পূর্ব রিজিওন) একেএম মমতাজ উদ্দিন। এ ছাড়া মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং ও এনফোর্সমেন্ট কমিটির সাতজন হলেন : যুগ্ম সচিব কাজী ওবায়দুর রহমান, শামিম আরা খাতুন, মো. খলিলুর রহমান, উপসচিব নন্দিতা সরকার, মুহম্মদ হিরুজ্জামান, সহকারী প্রধান আবু ইউসুফ মোহাম্মদ রাসেল ও মো. সিদ্দিকুর রহমান।
দুদক সূত্র জানায়, চলতি বছরের ২ জুলাই ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগে সিলেট বিভাগের ১৫ কর্মকর্তা এবং ৪৬ ঠিকাদার ও তাদের প্রতিষ্ঠানসহ ৬১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এর পাশাপাশি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবসহ ১৩ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করে দুদকের অনুসন্ধান টিম। সুপারিশে বলা হয়েছিল, ১৩ কর্মকর্তা সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলে ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজ যথাসময়ে শুরু ও শেষ করার ক্ষেত্রে তত্ত্বাবধান, পর্যবেক্ষণ ও বাস্তবায়নে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছেন। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও পাউবোর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং ঠিকাদারদের অনিয়ম, দুর্নীতি ও দায়িত্ব পালনে সীমাহীন অবহেলার কারণে বন্যার পানি ঢুকে এবার হাওরে মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে। নিয়ম অনুযায়ী পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টি শুরুর আগেই ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ করার কথা ছিল। বাস্তবে তা করা হয়নি। এতে হাওরের ফসল, মৎস্যসহ অন্যান্য সম্পদ ধ্বংস হয়েছে। সুপারিশে আরও বলা হয়, রুলস অব বিজনেস-১৯৯৬ অনুযায়ী সিনিয়র সচিব মন্ত্রণালয়/বিভাগের প্রশাসনিক প্রধান, অধস্তন কার্যালয়গুলোর প্রধান হিসাবদানকারী কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট দফতর, অধিদফতরের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ যাতে যথাসময়ে সুষ্ঠুভাবে ব্যয় হয় তা নিশ্চিত করবেন। এ ক্ষেত্রে পাউবোর ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয় নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে ৫৬ দিন পর। একই সঙ্গে পাউবোর আওতাধীন প্রকল্পগুলোর কার্যক্রম মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট কমিটি নিবিড়ভাবে তদারক করেনি। সময়মতো বাঁধ নির্মাণ না করার কারণেই দুর্নীতির ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে।
দুদক জানায়, সংস্থাটির তদন্ত টিমের সুপারিশ আমলে নিয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগগুলো তথ্য-প্রমাণসহ জানতে চেয়েছে। অর্থাৎ কোনো কর্মকর্তা ঠিক কী কী অবহেলা বা দুর্নীতি করেছে তা স্পষ্ট করে জানতে চেয়েছে। যদিও দুদকের সুপারিশেও অনেক কিছু উল্লেখ ছিল। তারপরও এবারের অভিযোগনামায় আরও স্পষ্ট আকারে তথ্য-প্রমাণ দেয়া হবে। যাতে মন্ত্রণালয় যথাযথ বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে পারে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, যে ১৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদক বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছিল তারা হলেন : পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ড. মোহাম্মদ আলী খান, যুগ্ম সচিব (উন্নয়ন-১, হাওর) নুজহাত ইয়াসমিন, যুগ্ম প্রধান (পরিকল্পনা অনু বিভাগ) মন্টু কুমার বিশ্বাস, পাউবোর মহাপরিচালক প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর কবির ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পূর্ব রিজিওন) একেএম মমতাজ উদ্দিন। এ ছাড়া মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং ও এনফোর্সমেন্ট কমিটির সাতজন হলেন : যুগ্ম সচিব কাজী ওবায়দুর রহমান, শামিম আরা খাতুন, মো. খলিলুর রহমান, উপসচিব নন্দিতা সরকার, মুহম্মদ হিরুজ্জামান, সহকারী প্রধান আবু ইউসুফ মোহাম্মদ রাসেল ও মো. সিদ্দিকুর রহমান।
দুদক সূত্র জানায়, চলতি বছরের ২ জুলাই ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগে সিলেট বিভাগের ১৫ কর্মকর্তা এবং ৪৬ ঠিকাদার ও তাদের প্রতিষ্ঠানসহ ৬১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এর পাশাপাশি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবসহ ১৩ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করে দুদকের অনুসন্ধান টিম। সুপারিশে বলা হয়েছিল, ১৩ কর্মকর্তা সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলে ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজ যথাসময়ে শুরু ও শেষ করার ক্ষেত্রে তত্ত্বাবধান, পর্যবেক্ষণ ও বাস্তবায়নে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছেন। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও পাউবোর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং ঠিকাদারদের অনিয়ম, দুর্নীতি ও দায়িত্ব পালনে সীমাহীন অবহেলার কারণে বন্যার পানি ঢুকে এবার হাওরে মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে। নিয়ম অনুযায়ী পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টি শুরুর আগেই ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ করার কথা ছিল। বাস্তবে তা করা হয়নি। এতে হাওরের ফসল, মৎস্যসহ অন্যান্য সম্পদ ধ্বংস হয়েছে। সুপারিশে আরও বলা হয়, রুলস অব বিজনেস-১৯৯৬ অনুযায়ী সিনিয়র সচিব মন্ত্রণালয়/বিভাগের প্রশাসনিক প্রধান, অধস্তন কার্যালয়গুলোর প্রধান হিসাবদানকারী কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট দফতর, অধিদফতরের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ যাতে যথাসময়ে সুষ্ঠুভাবে ব্যয় হয় তা নিশ্চিত করবেন। এ ক্ষেত্রে পাউবোর ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয় নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে ৫৬ দিন পর। একই সঙ্গে পাউবোর আওতাধীন প্রকল্পগুলোর কার্যক্রম মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট কমিটি নিবিড়ভাবে তদারক করেনি। সময়মতো বাঁধ নির্মাণ না করার কারণেই দুর্নীতির ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে।
দুদক জানায়, সংস্থাটির তদন্ত টিমের সুপারিশ আমলে নিয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগগুলো তথ্য-প্রমাণসহ জানতে চেয়েছে। অর্থাৎ কোনো কর্মকর্তা ঠিক কী কী অবহেলা বা দুর্নীতি করেছে তা স্পষ্ট করে জানতে চেয়েছে। যদিও দুদকের সুপারিশেও অনেক কিছু উল্লেখ ছিল। তারপরও এবারের অভিযোগনামায় আরও স্পষ্ট আকারে তথ্য-প্রমাণ দেয়া হবে। যাতে মন্ত্রণালয় যথাযথ বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে পারে।