কলেজছাত্র হত্যা মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড
গাজীপুরে এক কলেজছাত্রকে হত্যার দায়ে ৯ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক ফজলে এলাহী ভূইয়া এ আদেশ দেন। এছাড়া অন্য একটি ধারায় প্রত্যেককে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং আরেকটি ধারায় ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। নিহত ওই কলেজছাত্রের নাম শাহাদাত হোসেন সোহাগ (২২)। তিনি ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের অনার্স ৩য় বর্ষের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছিলেন। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের জেলা শহরের নিয়ামত সড়ক এলাকার শামসুল হকের ছেলে সেলিম ও একই এলাকার আব্দুল সোবাহানের ছেলে আসাদুল ইসলাম, উত্তর ছায়াবীথি এলাকার নাজমুল হকের ছেলে জহিরুল ইসলাম ওরয়ে জাকির হোসেন ওরফে জন্টু, বিলাশপুর এলাকার বাবুল মিয়ার ছেলে জুয়েল, শেরপুরের ঝিনাইগাতি থানার বাঘেরভিটা এলাকার বাক্কা মিয়ার ছেলে বাক্কা সুমন, দক্ষিণ ছায়াবীথী এলাকার মো. আ. মালেকের ছেলে তৌহিদুল ইসলাম ওরফে প্রিতম ওরফে প্রিতু ওরফে ইতু, রথখোলা এলাকার সিদ্দিকের ছেলে আরিফ, সামন্তপুর এলাকার লেহাজ উদ্দিনের ছেলে মো. হানিফ এবং উত্তরবিলাশপুর এলাকার মৃত আইয়ুর আলীর ছেলে রিপন আহমেদ জুয়েল।
এদের মধ্যে সেলিম, হানিফ, জুয়েল এবং আসাদুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় বাকি ৫ জন উপস্থিত ছিলেন। গাজীপুর আদালতের অতিরিক্ত পিপি মো. আতাউর রহমান জানান, নিহত সোহাগ গাজীপুরের ভাওয়াল বদরে আলম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। ২০১০ সালের ৮ জানুয়ারি সোহাগের বন্ধু বিহন কায়সার ফোন করে তাকে জেলা শহরের রাজবাড়ি মাঠে আসতে বলে। সোহগ তার বন্ধু নাহিদকে সঙ্গে নিয়ে ওই মাঠে গিয়ে বিহন কায়সার, তার স্ত্রী আখি, হানিফসহ মামলার অন্য আসামিদের দেখতে পায়। সেখানে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আসামিরা ছুরি, কিরিচ, ক্রিকেটের স্ট্যাম্প ইত্যাদি নিয়ে সোহাগসহ তাদের ওপর হামলা করে। পরে সোহাগকে রিকশাযোগে হাসপাতালে নেয়ার পথে আবার হামলা ও ছুরিকাঘাত করে। শেষমেষ সোহাগকে হাসপাতালে নিলে কতর্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় সোহাগের পালিত বাবা আবুল হাসেম সুফি বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।