সংসদ নির্বাচন, ইসিতে আইন সংস্কার কমিটির ৩১ প্রস্তাব
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ৩১টি প্রস্তাবনা দিয়েছে আইন সংস্কার সংক্রান্ত কমিটি। নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম নেতৃত্বাধীন সংশ্লিষ্ট কমিটি সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় এসব সুপারিশ উপস্থাপন করেন। ইসি সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। সূত্র জানায়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ (আরপিও) এ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) বা ডিজিটাল ভোটিং মেশিন (ডিভিএম) এ ভোটগ্রহণের বিধান অন্তর্ভুক্তি, নির্বাচনে জামানতের টাকার পরিমাণ আড়াইগুণ বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণ, অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা, স্বতন্ত্র প্রার্থিতা সহজ করা, নির্বাচন প্রক্রিয়া সহজ করতে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল রিটার্নিং ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রকাশ্যে টানিয়ে দেয়া ও ব্যয় মনিটরিংয়ে কমিটি গঠনের বিধান করা, নির্বাচনী অনিয়ম ও আচরণবিধি লংঘণ সম্পর্কে খোঁজ নিতে তৃতীয় চোখ নিয়োগ ও নির্বাচনী অনিয়ম দ্রুত নিষ্পত্তি করার বিধান রাখা।
এছাড়াও সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে হলে ১২ ডিজিটের টিআইএন সনদ দাখিল বাধ্যতামূলক করা, নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ভোট দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে আগাম ভোটগ্রহণ ব্যবস্থা করা, কোনো আসনে দুই বা তার বেশি প্রার্থী সমান সংখ্যক ভোট পেলে সেখানে লটারির পরিবর্তে ওইসব প্রার্থীর মধ্যে পুনরায় ভোটগ্রহণের বিধান করা, নির্বাচনে অবৈধ টাকার প্রভাব রোধ এবং নির্বাচনি ব্যয় নির্ধারিত টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে একটি মনিটরিং কমিটি গঠন এবং প্রত্যেক প্রার্থীর প্রতি সপ্তাহে ব্যয়ের খরচ দাখিলের বিধান যুক্ত করা, নির্বাচন নিয়ে জমা হওয়া অভিযোগ সম্পর্কে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া এবং গৃহিত পদক্ষেপ সম্পর্কে অভিযোগকারীকে জানানো বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব করা ইত্যাদি।
সূত্র আরো জানায়, সুপারিশগুলো কমিশন সভায় উপস্থাপন করা হলেও বিষয়টি নিয়ে সভায় তেমন কোনো আলোচনা হয়নি। তবে এসব সুপারিশ পর্যালোচনা করতে একটি উপ-কমিটি গঠন করা হতে পারে। কমিশন সভা শেষে সোমবার ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানান, অনেক আইন আছে যেগুলো সচরাচর ব্যবহার করা হয়। সেগুলো বাদ দেয়া এবং নতুন কিছু যোগ করা যায় কি না বিষয়টি নিয়ে কমিশনে আলোচনা হয়েছে।