তারেক রহমান নিয়ে সংঘবদ্ধ অপপ্রচারে পীর হাবিব
সংকটে রয়েছেন পীর হাবিবুর রহমান। সুবিধাবাদী আর ধান্দাবাজির কারণে কারোই বিশ্বস্ত হয়ে উঠতে পারেননি। ফলে একবার একরকম এসাইনমেন্ট নিয়ে মাঠে নামেন। তার এবারের নয়া এসাইনমেন্ট বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরোধিতা করা। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এসাইনমেন্ট নিয়ে ইতোমধ্যেই মাঠে সক্রিয় পীর হাবিব। এসাইনমেন্টের শুরুতেই তারেক রহমানের বিরুদ্ধে তার রিপোর্টের শিরোনাম ‘তারেক বিএনপির বোঝা নাকি আওয়ামী লীগের শত্রু’ । ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’ নামক একটি দৈনিক পত্রিকায় এই রিপোর্টটি প্রকাশিত হয়েছে গত ২২ নভেম্বর। রিপোর্টটি এমন একসময় প্রকাশিত হয়েছে যখন দেশে বিদেশে বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা ২০ নভেম্বর তারেক রহমানের ৫৩ তম জন্মদিনের উৎসব মহাসমারোহে উদযাপন করছে। এমনি এক উৎসবমুখর পরিবেশে কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ করে এই শিরোনামে রিপোর্ট নামের রচনাটি যে অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এটি বিএনপির নেতাকর্মীরা তো বটেই সাধারণ জনগণেরও বুঝতে কষ্ট হয়না। যেই পত্রিকায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে পীর হাবিবের উদ্দেশ্যমূলক রচনাটি প্রকাশিত হয়েছে এই পত্রিকাটি থেকেই অপমানজনকভাবে চাকুরি হারাতে হয়েছিল পীর হাবিবকে। পীর হাবিব ছিলেন তোফায়েল আহমেদের পোষ্য সাংবাদিক। কিন্তু তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে ধান্দাবাজি চান্দাবাজি নিয়ে বিরোধের জের ধরে তাকে চাকুরী হারাতে হয়েছে। পীর হাবিবকে ‘বাংলাদেশ প্রতিদীন থেকে অপমান করে বের করে দেয়ার পর আবার এতো আদর যত্ন করে ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’ পত্রিকায় তার লেখা প্রকাশের কারণ অনেকের কাছেই স্পষ্ট। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিশেষভাবে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে টার্গেট করে অপপ্রচার সেল গঠন করা হয়েছে। অপপ্রচার সেলের অন্যতম মুখপাত্র হিসেবে ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’ পত্রিকা তাই পীর হাবিবের লেখাটি প্রকাশ করেছে গুরুত্ব সহকারে।
২.
সাম্প্রতিক সময়টি ভালো কাটছেনা ধান্দাবাজ পীর হাবিবের। শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত হতে নানাভাবে চেষ্টা করেছেন। সমস্যা হলো, তাকে কেউ বিশেষ করতে চায়না। কারণ প্রয়োজনে পা চাঁটা আবার প্রয়োজন শেষে বুড়ো আঙ্গুল দেখানো পীর হাবিবের স্বভাব। উঠতে বসতে পীর হাবিব কেন শেখ হাসিনার চেয়েও বেশি শেখ মুজিব বন্দনায় লিপ্ত এটি নিয়ে সাংবাদিকদের মধ্যে নিত্য হাসাহাসি হয়. কারণ, সময় সুযোগ বুঝে পিতা পরিবর্তন করেন পীর হাবিব। সাংবাদিকতার শুরুতে শেখ মুজিবুর রহমান তার রাজনৈতিক পিতা থাকলেও ২০০৭ সালের ওয়ান ইলেভেনের অনিয়মতান্ত্রিক সরকারের সময় তার পিতা ছিলেন সেই সময়কার দোর্দন্ড প্রতাপশালী জেনারেল মঈন উ আহমেদ। জেনারেল মঈন উ আহমেদও ভন্ড পীর হাবিবকে আপন করে নেন। প্রতিদিন দৈনিক আমাদের সময়সহ বিভিন্ন পত্রিকায় পিত জেনারেল মঈন উ আহমেদের বন্দনা করে পীর হাবিবের লেখা প্রকাশিত হতে থাকে। আধুনিক সিঙ্গাপুরের জনক জেনারেল লি কুয়ানের সঙ্গে জেনারেল মঈনকে তুলনা করে ধান্দাবাজ পীর হাবিবের একাধিক লেখা সেই সময় দৈনিক আমাদের সময়ে প্রকাশিত হয়েছে। তবে জনগণের প্রতিরোধে পীর হাবিবের পিতা জেনারেলের মঈন উ’র ভাগ্যে আর লি কুয়ান হওয়া হয়ে ওঠেনি। এমনিতেই কুয়ায় পড়েন পীর হাবিবের পিতা মঈন উ। মঈনের সময়কালে জেনারেল মঈন আর ডিজিএফআইর বিশ্বস্ত মুখপাত্রে পরিণত হন পীর হাবিব। সেনাবাহিনীর চক্রান্তকারী অংশটির সঙ্গে পীর হাবিবের গভীর সখ্য থাকার কারণে তার ভাগ্য বদলে যেতে থাকে। পীর হাবিবকে ঘিরে নাইমুল ইসলাম খান প্রায় প্রতি রাতেই তার বাসায় আসর বসাতেন । তবে ২০০৯ সালে শেখ হাসিনার কাছে ক্ষমতা দিয়ে দেশ ছাড়েন মঈন। মঈনকে পিতা ডেকে বিপদে পড়া পীর এবার পরিস্থিতি বুঝে পুনরায় শেখ মুজিবকেই পিতা জপতে শুরু করেন । শেখ হাসিনার প্রথম পাঁচ বছর আওয়ামী লীগের নেতাদের পা আর পীর হাবিবের কপাল ছিল প্রায় সমার্থক। এদিকে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়ায় বিএনপিসহ ২৮টি রাজনৈতিক দল ২০১৪ সালের জানুয়ারী মাসের নির্বাচন বর্জন করে। ফলে নির্বাচনের নামে ওই প্রহসনের সময় ইয়াবা ব্যবসায়ী কিংবা গুন্ডা বদমাশ অনেকেরই নিজের নামের আগে এমপি তকমা লাগানোর পথ খুলে যায়। সুযোগ বুঝে আবার চরিত্র পরিবর্তন করেন পীর হাবিব। নিজের ছাত্রলীগ করা ভাই পীর ফজলুর রহমানকে এমপি বানাতে দ্বারস্থ হন এরশাদের। শেখ মুজিব কিংবা মঈন নয় এবার পীর হাবিবের পিতা হন এরশাদ। নিজের ভাইয়ের জন্য জাতীয় পার্টির মনোনয়ন বাগাতে এরশাদের বন্দনা করে বিভিন্ন পত্রিকায় নিয়মিত রচনা লিখতে শুরু করেন পীর হাবিব। এরশাদকে পিতা ডেকে তৎকালীন নির্বাচন কমিশনার জাতীয় অপদার্থ কাজী রকিবকে দিয়ে নিজের ভাইকে জাতীয় পার্টির এমপি হিসেবে নাম ঘোষণা করাতে সক্ষম হন। এখন আবার জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে এসেছে। এই নির্বাচনে এবার নতুন কৌশল নিয়েছেন পীর হাবিব। শেখ হাসিনাকে খুশি করতে সাংবাদিক নামধারী হাবিব-বোরহান চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এই চক্রের এবার তাদের অপপ্রচারের প্রধান টার্গেট বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
৩.
তারেক রহমানের প্রত্যক্ষ রাজনীতির বয়স দুই যুগের বেশি। তিনি সাংবাদিক নামধারী ভন্ডদের যেমন চেনেন আবার যারা বস্তুনিষ্ঠ ও সত্যানুসন্ধানী সাংবাদিকতা করেন তারাও তার কাছে অজানা নয়। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে ২০১৭ সালের ৭ নভেম্বর লন্ডনে দলের একটি সভায় বক্তব্য দিয়েছেন তারেক রহমান। বক্তৃতায় তারেক রহমান বলেছিলেন, ‘চালের মধ্যে যেমন খারাপ চাল আছে, মানুষের মধ্যেও ভালোমন্দ রয়েছে। সব সাংবাদিক খারাপ নয়, আবার সব সাংবাদিক ভালো নয়, রাজনীতিবিদদের মধ্যেও ভালো খারাপ আছে একইভাবে সব শ্রেণী পেশার মানুষের মধ্যেও ভালোমন্দ রয়েছে। তারেক রহমান বলেন, দেশের কতিপয় গণমাধ্যমের সাংবাদিক এবং মালিক অবৈধ সরকারের কাছ থেকে অবৈধ সুযোগ সুবিধা নিচ্ছে এবং আরও অবৈধ সুবিধা নেয়ার জন্য তারা প্রতিনিয়ত শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপি সম্পর্কে প্রতিনিয়ত মিথ্যাচার ও অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। তিনি তাদেরকে মিথ্যা ও অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার আহবান জানান। তারেক রহমান বলেন, জনগণ এইসব মিথ্যাচার ও অপ্রচারকারী সাংবাদিক নামধারীদের আত্মসম্মানবোধহীন এবং নিম্নশ্রেনীর মানুষ বলে মনে করে। তারেক রহমান অপপ্রচারকারী সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন “নিজেদের এতো নীচে নামাবেন না’।তারেক রহমানের এই বক্তব্যে প্রকৃত সাংবাদিকরা খুশি হলেও রাগ করেছেন পীর হাবিব আর বোরহান কবিরদের মতো সাংবাদিক নামধারী ধান্দাবাজ-চাঁদাবাজরা। সাংবাদিক সম্পর্কে তারেক রহমানের বক্তব্য পুরোটা না শুনে তারা শুনেছেন শেখ হাসিনার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আলম খোকনের এডিট করা তারেক রহমানের বক্তব্য। এই খণ্ডিত বক্তব্য শুনেই পীর হাবিব প্রমান করছেন আসলেই পীর হাবিব জাতীয় সাংবাদিক নামধারীরা ‘নিম্নমানেৱ’।
৪.
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কল্প-গল্প লিখতে গিয়ে পীর হাবিব নিজের লেখায় নিজেই মন্তব্য করেছেন, ‘আমি জানি, আমার লেখা পড়ে বিএনপির অন্ধ-সমর্থকরা চামড়া তুলে হাড্ডি-মাংস খেয়ে ফেলতে চাইবেন। আমি আরও জানি, বিএনপির দলীয় অন্ধরা যা খুশি তাই গাল দেবেন’। এই মন্তব্যটি করে পীর হাবিব নিজেই নিজের লেখার সঙ্গে বিরোধিতা করলেন। কারণ তারেক রহমান যদি দলের বোঝা হয়ে থাকেন তাহলে তো এই লেখার জন্য পীর হাবিবের বক্তব্য অনুযায়ী তিনি বিএনপি নেতাকর্মীদের কাছ থেকে ফুলের মালা আশা করার কথা তাহলে জুতার মালা’র ভয় কেন? বাস্তবতা হচ্ছে, এই পীর হাবিব মার্কা রচনা লেখকদের উদ্দেশ্যমূলক লেখায় বিএনপি তথা জাতীয়তাবাদী শক্তির কর্মী সমর্থক শুভার্থীরা বিভ্রান্ত নয়। কারণ এই পীর হাবিবদের লেখার ওজন কিংবা গুরুত্ব থাকলে এখন শেখ হাসিনা নয় ক্ষমতায় থাকার কথা জেনারেল মঈন উ আহমেদের। পীর হাবিবরা সবাই মিলে মঈনের পক্ষে প্রতিদিন রচনা প্রকাশ করেও তাকে ক্ষমতায় রাখা যায়নি। সৈয়দ বোরহান কবির যেভাবে শেখ হাসিনাকে নোবেল পুরস্কারের লোভ দেখিয়ে বোকা বানায় পীর হাবিবের মতো টাউট বাটপাররা মঈনকে ক্ষমতা রাখার লোভ দেখিয়েছিলো। কিন্তু প্রমান হয়েছে, জনগণ পীর হাবিব চক্রের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত নয়। বাস্তবতা হলো, জনগণ এখন তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কোনো অপপ্রচার শুনতে চায়না বরং সত্যি কোনো অনিয়ম হয়ে থাকলে সেটার বিশ্বাসযোগ্য সাক্ষ্য প্রমান চায়। কিন্তু গত নয় দশ বছরেও পীর হাবিবের পিতা কিংবা পিতার আসল সন্তানেরা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কোনো অনিয়ম দুর্নীতি বিশ্বাসযোগ্য প্রমান হাজির করতে পারেনি। উল্টো জনগণ এখন জানতে চায়, গত দশবছরে কীভাবে ছয়লক্ষ্ কোটি টাকা দেশ থেকে পাচার হলো, কারা পাচার করলো, কেন টাকা পাচারকারীদের নাম জনসমক্ষে প্রকাশ করা হচ্ছেনা?
৫.
কিছু মানুষের জন্মই যেন আজন্ম পাপ। কিছু মানুষের জন্মই যেন ওপরের বন্দনা করার নিমিত্তে। পীর হাবিব তেমনি একজন আত্মমর্যাদাহীন মানুষ। তার বন্দনায় শেখ মুজিব, জেনারেল মঈন, জেনারেল এরশাদ এখন শেখ হাসিনা। পীর হাবিবের যেন পাপের শেষ নেই। এখন আর হাসিনা বন্দনায় চিড়ে ভিজছেন। তাই শেখ হাসিনার পুত্র জয় এবার পীর হাবিবের বন্দনার তালিকায়। পীর হাবিব তার রচনায় জয় সম্পর্কে লিখেন, ‘শেখ হাসিনা হার্ভার্ড পাস আইটি বিশেষজ্ঞ পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে দলে জড়াননি। কায়দা করে ক্ষমতা থেকেও দূরে রেখেছেন’। জয় সম্পর্কে পীর হাবিবের পুরো লাইনটি মিথ্যাচার এবং পীর হাবিবের মূর্খতার প্রমান। কারণ জয়ের পরিচয় ব্যাংক ডাকাত সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আইটি উপদেষ্ঠা অপরদিকে জয় দলেও আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিয়েছেন। সুতরাং ক্ষমতা থেকে দূরে এটি সত্য নয় বরং জয়ের বিরুদ্ধে নিউ ইয়র্কে কিছু সত্য কথা বলার কারণে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে দলীয় পদ এবং মন্ত্রিত্ব দুটোই ছাড়তে হয়েছে। সারা বিশ্বে তথ্য প্রযুক্তির এই চলমান সময়ে যখন জয়কে বলা হয় ‘হার্ভার্ড পাস আইটি বিশেষজ্ঞ’ তখন পীর হাবিব যে ‘অর্বাচীন’ এটি বুজতে কারো কষ্ট হয়না। জয় ‘হার্ভার্ডে’ আইটি পড়েননি এটা পীর হাবিব বোঝার কথা নয় কারণ পীর হাবিব কিংবা বোরহান কবির জাতীয় এক শ্রেণীর প্রাণীদের জন্ম কেবলি বন্দনা করার জন্য। এরা জানেনা প্রচুর পরিমান টাকা থাকলে হার্ভার্ড থেকে কোনো বিষয়ে ছয়মাস কিংবা নয়মাসের একটা কোর্স করা কঠিন কিছু নয়। বাংলাদেশে এখনো লক্ষ্ লক্ষ্ তরুণ তরুণী রয়েছে যারা হার্ভার্ড থেকে জয়ের মতো কছড়া সার্টিফিকেট জোগাড় করতে পারে কিন্তু দুর্ভাগ্য জয়ের মতো তাদের অঢেল টাকা নেই। তথ্য প্রযুক্তির অপব্যাবহার করে বাংলাদেশে ব্যাংকের রিজার্ভ ফান্ড থেকে ২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারী পাচার হয়ে যায় প্রায় আটশো দশ কোটি টাকা। জনগণ যদি প্রশ্ন করে, পীর হাবিবের আইটি বিশেষজ্ঞ জয় কি ভূমিকা রেখেছেন? বরং দেখা যায়, ২৯ ফেব্রয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে রাখার অপচেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু ফিলিপাইনের গণমাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ফান্ড ডাকাতির ঘটনা প্রকাশ করে দিলে সবার টনক নড়ে। পরে জানা গেলো, শেখ হাসিনা, সজিব ওয়াজেদ জয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নর আতিউর রহমান সবাই এটি ধামা চাপা দিয়ে রাখার অপচেষ্টা করেছিল। এমনকি এই সময়ের মধ্যে গোপনে ভারতীয় নাগরিক রাকেশ আস্তানার হাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাইবার সিকিউরিটি সিস্টেম তুলে দেয়া হয়। এ সম্পর্কে পীর হাবিব জাতীয় রচনা লেখকদের প্রশ্ন করার সৎ সাহস নেই।
৬.
তারেক রহমান বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান। তিনযুগের বেশি সময় ধরে প্রত্যক্ষ্ রাজনীতিতে জড়িত থাকার অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ। রাজনৌতিক কর্মসূচি নিয়ে সারাদেশে ঘুরেছেন। দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। বিরোধী দলে থেকেও রাজনৈতিক অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হয়েছেন আবার তার দল বিএনপি একাধিকবার সরকার পরিচালনা করেছে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সবচেয়ে বিরোধী দল বিএনপি। সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান। তারেক রহমান লন্ডনে বেশ কয়েকটি সভা সেমিনারে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের বেশ কিছু বিষয় তার বক্তৃতায় তুলে ধরেছেন। ঐতিহাসিক কিছু বিষয় উত্থাপন করে দলিল প্রমানসহ ‘জিয়াউর রহমান : বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ও স্বাধীনতার ঘোষক’ শিরোনামে একটি বইও সম্পাদনা করেছেন। একজন রাজনৈতিক নেতা হয়েও বইটি সম্পাদনা করার কারণ বাচালতা কিংবা প্রতিহিংসা নয় বরং তথ্য প্রমান দিয়ে তথ্য উপস্থাপন করা। তবুও পীর হাবিবদের বোধ নেই। এরা যুক্তিতর্কের ধার ধারেনা। এই নির্বোধেরা নিজেদের অধিক পন্ডিত মনে করে। নিজের অবস্থা অবস্থান ভুলে গিয়ে একজন জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা সম্পর্কে পীর হাবিব যখন পাগল-ছাগলের মতো মন্তব্য করে তখন বোধসম্পন্ন মানুষ লজ্জা পায়। পীর হাবিবদের মতো অর্বাচীনদের সঙ্গে ইতিহাসের আলোচনা করে লাভ নেই কারণ এদের কাছে ইতিহাস হচ্ছে “নগদ প্রাপ্তি”র বিষয়। নগদ প্রাপ্তির জন্য এরা শেখ মুজিবকে পিতা ডাকে, আবার প্রয়োজনে জেনারেল এরশাদ কিংবা জেনারেল মঈনকে পিতা ডাকতেও এদের দ্বিধা নেই। এখন তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হলেও হয়তো দেখা যাবে দেখা যাবে পরিস্থিতি পরিবর্তন হলে এরাই আবার তারেক রহমানকেও পিতা সম্বোধন করবে। ডেইলিবিডিটাইমস
এখানে প্রকাশিত সব মতামত লেখকের ব্যক্তিগত, সুনামগঞ্জ বার্তা ডটকম’র সম্পাদকীয় নীতির আওতাভুক্ত নয়।