বস্তুনিষ্ঠ সংবাদকে গুরুত্ব দেবে ফেসবুক
নিউজ ফিডে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদকে গুরুত্ব দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ফেসবুক। ভুয়া নিউজ ছড়িয়ে দেওয়ার সমালোচনার প্রেক্ষাপটে এমন কথা জানাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফরম।ফেসবুকের কর্ণধার মার্ক জাকারবার্গ শুক্রবার জানিয়েছেন, ভুয়া ও সুড়সুড়ি দেওয়া সংবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে। এখন থেকে ব্যবহারকারীদের মতামতের ভিত্তিতে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ মাধ্যম বাছাই করা হবে।ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলছে, শুধু সংবাদ মাধ্যমগুলোর পোস্ট করা লিংকই নয়, ব্যক্তি ব্যবহারকারীরা যেসব সংবাদ প্রতিবেদন শেয়ার করবেন, তাও নজরে রাখবেন তারা।বিশ্বজুড়ে ২০০ কোটির বেশি মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে আসছে; আর সামাজিক যোগাযোগের এই মাধ্যমে ভুয়া খবর ছড়িয়ে পড়ার নজির আছে ভুরিভুরি।ব্যবহারকারীদের পোস্টে সংবাদের জন্য জায়গা ৫ শতাংশ থেকে ৪ শতাংশে নামিয়ে আনার ঘোষণাও দিয়েছেন জাকারবার্গ। সেইসঙ্গে আঞ্চলিক সংবাদের উৎসগুলোকে গুরুত্ব দেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি। জাকারবার্গের ঘোষণায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া এসেছে; তথ্যনিষ্ঠ সংবাদকে গুরুত্ব দেওয়ার কথায় অনেকে সাধুবাদ জানালেও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ মাধ্যম বাছাই নিয়ে সংশয়ও এসেছে কারও কারও কাছ থেকে। তবে জাকারবার্গ বলেছেন, ফেসবুকের নির্বাহীদের কেউ নয়, বরং ব্যবহারকারীরাই বন্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনকারীদের নির্বাচন করবেন।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলছে, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশক বাছাইয়ের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের আকার কিংবা তার আদর্শিক অবস্থানকে গুরুত্ব দেবে না তারা। জাকারবার্গ বলেছেন, “আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ব্যবহারকারীরাই ঠিক করবেন, কোন সংবাদ প্রকাশক নির্ভরযোগ্য ও নিরপেক্ষ।”তবে জরিপের ফল প্রকাশ না করার পরিকল্পনার কথাও বলেছে ফেসবুক; এর কারণ ব্যাখ্যা করে তারা বলেছে, তাতে নির্দিষ্ট কোনো ব্যবহারকারীর নিউজ ফিডে একটি সংবাদের স্থান দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি অসম্পূর্ণ চিত্র ফুটে উঠবে। তিনি বলেন, “অনেক বেশি উস্কানিমূলক, ভুয়া ও পক্ষপাতমূলক সংবাদের দৌরাত্ম্য চলছে বিশ্বজুড়েই।“সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে এখন আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে সংবাদ দ্রুত ছড়াচ্ছে। তাই এখনই যদি আমরা এই সমস্যার সমাধান করতে না পারি, তবে আমরা বড় গাড্ডায় পড়ে যাব।” ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের সময় ভুয়া খবর ছড়ানোয় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয় ফেসবুককে।