সিলেটের এজলাসে পুলিশের ওপর হামলা, মহিলা কারাগারে
সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারকের কক্ষে তিন পুলিশ কনস্টেবলের উপর হামলাকারী মহিলা শঙ্খ রানীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সিলেটের কোতোয়ালি থানায় মামলার প্রেক্ষিতে শঙ্খকে আদালত কারাগারে পাঠায়। এদিকে ওই মহিলার হাতে আহত পুলিশ কনস্টেবল লিজা বেগমকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে। শঙ্ঘ রানী নেত্রকোনার কলমাকান্দা থানার কেশবপুর গ্রামের অপূর্ব কান্তি তালুকদারের স্ত্রী। বর্তমানে সিলেট শহরতলীর খাদিমনগরের বহর মণিপুরী পাড়ায় বসবাস করে আসছেন। লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন নারী কনস্টেবল শিউলি বেগম, লিজা বেগম ও এটিএসআই রাহাত আহমদ। এদের মধ্যে আহতাবস্থায় কনস্টেবল লিজা বেগম সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। আদালত সূত্র জানায়, গ্রেপ্তারকৃত নারী শঙ্খ রানী সরকারের দায়েরকৃত একটি প্রতারণার মামলা সংশ্লিষ্ট আদালতে বিচারাধীন। এই মামলার নির্ধারিত তারিখ ছিল গতকাল বৃহস্পতিবার। আদালতে ওই সময় অন্যান্য মামলার কার্যক্রম চলাকালিন সময় হঠাৎ তিনি জোরপূর্বক দায়িত্বরত পুলিশের বাধা না মেনে আদালতের এজলাসের ভেতরে প্রবেশ করেন। এরপর এজলাসের ভেতরে উপস্থিত থাকা আইনজীবীদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। তাকে দায়িত্বরত মহিলা পুলিশ সদস্যসহ পুলিশের এক এটিএসআই সরিয়ে নিতে গেলে ওই নারী উত্তেজিত হয়ে তাদেরকে লাঞ্ছিত করেন। সিলেট কোতোয়ালি থানার রেকর্ড অফিসার নেহার রঞ্জন জানিয়েছেন, আদালতের এজলাসের ভেতরে দুই নারী কনস্টেবল ও এক এটিএসআইকে লাঞ্ছিত করার দায়ে আহত পুলিশ কনস্টেবল শিউলি বেগম বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় একমাত্র আসামি করা হয়েছে শঙ্খ রানী সরকার নামের এক মহিলাকে।