খোলা চিঠি
তওহীদ ফিতরাত হোসেন(ফেসবুক থেকে)- সমীপেষু ,শ্রদ্ধেয় মামু আঃ মান্নান (সরকার নিযুক্ত সাবেক জনগনের চাকর আধখানি মন্ত্রী অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রনালয় বাংলাদেশ।)
আসসালামুআলাইকুম-
আপনি আমার এক বন্ধুর মামা সে সুবাদে আপনাকে মামু সম্বোধন করা। কয়েকবার দেখা হয়েছে। আমার গাড়িতে আপনাকে গন্তব্যে গভীর রাতে পৌছে দিয়েছি। মনে মনে আপনাকে ভালবেসেছি। আপন ভেবেছি। আজ সব শেষ করে দিলেন । জগন্নাথপুরের একটি রাস্তার নাম ফলক দেখে মনে হল আপনি এক দিবা স্বপ্নে বিভোর। আপনাদের মতন সাবেক আমলা চাকরদের এই এক সমস্যা বুক ফুলিয়ে চলেন না কিন্তু মাথা নীচু করে থাকলেও বিষাক্ত দাঁত ঠিকই দেখিয়ে দেন। মামু এই সব করে সামাদ আজাদের মতন নেতাকে মানুষের মন থেকে মুছে দিতে পারবেনা। আমরা জানি আপনারা আমলারা গিরগিটের মতন রং বদল করেন। কিন্তু সিংহ হতে পারেননা। বড় সাহেবদের তৈলমর্দন করতে করতে ক্লান্ত জনগনের কথা ভুলে যান। হাঁটেন চিপা গলি দিয়া। আপনারা আমলারা নিজেকে মালিক মনে করেন। আপনারা তা নন। আমলা মানে চাকর। আপনারা ক্ষমতা নিয়ে তা ভুলে যান বলেই জনগনের নেতা না হয়ে মালিক হবার দিবাস্বপ্ন দেখেন। এমনই এক স্বপ্নে বিভোর আপনি ভুলে গেলেন কে এই সামাদ আজাদ। তার নাম ব্যবহার কি করে করতে হয়। আব্দুস সামাদ আজাদ নামটি ব্র্যাকেট বন্দি হবার নয়। তা করে আপনি প্রমান করেছেন আপনার মন অপরিষ্কার। কাউকে ছোট করে কি নিজে বড় হওয়া যায় ? এই পথে আপনি জননেতা হতে পারবেননা। আপনি এমপি হয়েছেন , আধখানি মন্ত্রী হয়েছেন ,পুরো মন্ত্রীও হবেন তা নেত্রীর কৃপায়। জননেত্রী না থাকলে বানের মতন ভেসে যাবেন। নেতা হতে পারবেনা। কিন্তু নেতা হতে হলে আগে আওয়ামীলীগ হতে হবে। জনতার মন বুঝা লাগবে।জগন্নাথপুরের সামাদ আজাদ আপাদমস্তক জনতার ছিলেন। রাজনীতির জগতে তিনি এক কিংবদন্তী। তার নাম ব্রাকেট বন্দী করে আপনি যে ঔদত্ব দেখিয়েছেন তা মেনে নিতে পারছিনা। সামাদ আজাদ কে আপনার মতন খোয়রাতি মন্ত্রীর এমন আচরন মেনে নিতে পারবেনা তার শিষ্যর। প্রতিবাদ করছি ঘৃন্য অপচেষ্টার। তা না করলে আমি আমার আত্বার কাছে ছোট হয়ে যাব। জয় বাংলা।
বিঃদ্রঃ আমার সাথে দেশে উন্মাদের আচরন করায় এবং অনুরোধ না রাখায় এই লিখা লিখিনি। এটা আমার নেতার প্রতি দায়। লেখক-তওহীদ ফিতরাত হোসেন, সাবেক সভ্য সিলেট ছাত্রলী্ সাবেক সহসভাপতি সিলেট জেলা যুবলীগ। মুজিব সৈনিক। ইংল্যান্ড ১৯/০৫/২০১৮