সুনামগঞ্জের ৭ মেধাবী
৩৭ তম বিসিএস’এ পুলিশ ক্যাডার, শিক্ষা ক্যাডার ও প্রশাসনিক ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়েছেন সুনামগঞ্জের কয়েকজন মেধাবী। দৈনিক সুনামগঞ্জের খবরের বার্তাকক্ষ থেকে তাঁদের যাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছে এরা হলেন- বিশ্বম্ভরপুরের পলাশের অলক কান্তি শর্মা (পুলিশ ক্যাডার) এবং সুনামগঞ্জ সদরের তাসনিম স্বপ্না (পুলিশ ক্যাডার), দোয়ারাবাজারের আমবাড়ি’র সাদিকা আক্তার (শিক্ষা ক্যাডার), একই ক্যাডারে দক্ষিণ সুনামগঞ্জের শত্রুমর্দনের কংকন দাস ও দিরাই উপজেলার ভাটি ধলের জিপু চৌধুরী এবং তাহিরপুর উপজেলার নালেরবন্দের শাহীন দেলোয়ার (প্রশাসন ক্যাডার) ও জামালগঞ্জের তাঞ্জিলা তাসনিম (প্রশাসন ক্যাডার)। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার নিধিরচর গ্রামের মো. আলতা মিয়া ও আম্বিয়া খাতুনের মেয়ে তাসনিম স্বপ্না ৪ বোন ও ৩ ভাইয়ের মধ্যে বড়। তিনি সদর উপজেলার বেরাজালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক সমাপনী, ইয়াকুব উল্লা পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি বিষয়ে মাস্টার্স শেষ করে ২০১৭ ইংরেজিতে পিএসসি নিয়োগে সাবরেজিস্ট্রার হিসাবে নিয়োগ পান। বর্তমানে তিনি গোয়াইনঘাট উপজেলার সাবরেজিস্ট্রার। ৩৭ তম বিসিএস’এ পুলিশ ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়েছেন তাসনিম স্বপ্না।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পলাশ উচ্চ বিদ্যালয়ের অব. শিক্ষক প্রভাত চন্দ্র শর্মা ও তারামনি শর্মার চার ছেলে-মেয়ের মধ্যে সবার ছোট অলক কান্তি শর্মা। পলাশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক সমাপনী, পলাশ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও সিলেট এমসি কলেজ থেকে এইচএসসি এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞান এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে মাস্টার্স শেষ করেছেন অলক শর্মা। ৩৭ তম বিসিএস’এ পুলিশ ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি। দোয়ারাবাজার উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়নের সাউদেরগাঁওয়ের বাসিন্দা আব্দুল মছব্বির ও রাবেয়া আক্তারের মেয়ে সাদিকা আক্তার। তিনি গোবদ্ধর্নগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক সমাপনি, আমবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি এবং শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি বিভাগে মাস্টার্স সমাপন করেন। ৩৭ তম বিসিএস’এ শিক্ষা ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি। দক্ষিণ সুনামগঞ্জের শত্রুমর্দন গ্রামের কৃপেশ দাস ও নিভা রানী দাসের ছেলে কংকন দাস। পাগলা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, মদন মোহন কলেজ থেকে এইচএসসি এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে মাস্টার্স সমাপন করেন তিনি। ৩৭ তম বিসিএস’এ শিক্ষা ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়েছেন কংকন দাস।
জামালগঞ্জের লক্ষীপুর বড়বাড়ির অব. পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক ও শিক্ষিকা নিলুফার ইয়াসমিনের মেয়ে তাঞ্জিলা তাসনিম সুচী। ২ ছেলে ও ১ মেয়ের মধ্যে বড় সুচী। তিনি জামালগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক সমাপনী, জামালগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ময়মনসিংহ মোমেনুন্নেছা সরকারি কলেজ থেকে এসএসসি এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজকর্ম বিষয়ে মাস্টার্স সমাপন করেছেন। সুচী ৩৭ তম বিসিএস’এ অ্যাডমিন ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়েছেন। দিরাই উপজেলার ভাটি ধলের ধর্ম চৌধুরী ও সুপ্রভা চৌধুরী’র ছেলে জিপু চৌধুরী। ২ ছেলে ও ১ মেয়ের মধ্যে সবার ছোট জিপু। দিরাই উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, সিলেট সরকারি কলেজ থেকে এইএসসি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি বিষয়ে মাস্টার্স সমাপন করেন তিনি। ৩৭ তম বিসিএস’এ শিক্ষা ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়েছেন জিপু। তাহিরপুর উপজেলার নালেরবন্দ গ্রামের মিয়া হোসেন ও আরফিন নেছার ছেলে শাহীন দেলোয়ার। ৪ ছেলে ও ২ মেয়ের মধ্যে ছোট শাহীন। তিনি বালিজুরি আলিম মাদ্রাসা থেকে দাখিল, সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি এবং শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি বিষয়ে মাস্টার্স সমাপন করেন। ৩৭ তম বিসিএস’এ অ্যাডমিন ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়েছেন শাহীন দেলোয়ার।