দেখার হাওরে অপ্রয়োজনীয় বাঁধ নির্মাণের অভিযোগে মামলা
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার দেখার হাওরে বোরো ফসলরক্ষার নামে অপ্রয়োজনীয় বাঁধ নির্মাণে কোটি টাকা অপচয় করার অভিযোগে সুনামগঞ্জ সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ আগস্ট) আদালতে এই পিটিশন মামলাটি দায়ের করেছেন সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের জলালপুর গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে কৃষক মো. আজাদ মিয়া। মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে, মোল্লাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হক, সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারী প্রকৌশলী আশরাফুল সিদ্দিকি ও সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার আতিকুর রহমানকে। আদালতে পিটিশন মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী প্রদীপ কুমার নাগ। তিনি জানিয়েছেন, আদালত বাদীর পিটিশনটি গ্রহণ করেছেন এবং বাদীর জবানবন্দী গ্রহণ করেছেন। তবে আদালত বৃহস্পতিবার কোন আদেশ দেননি। আদালতে দায়ের করা পিটিশনে উল্লেখ করা হয়, ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে সদর উপজেলার দেখার হাওরের বোরো ফসলরক্ষার নামে মোল্লাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হক, সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারি প্রকৌশলী আশরাফুল সিদ্দিকি ও সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার আতিকুর রহমান হাওরপাড়ের কৃষকদের আলোচনা না করে ৬টি উপ-প্রকল্প গ্রহণ করেন। ৬টি প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয় ১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। প্রতিটি প্রকল্প (হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ) মহাসিং নদীর পূর্ব তীরে নির্মাণ করাও কথা থাকলেও প্রত্যেকটি প্রকল্প নদীর ৩ থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে নির্মাণ করা হয়। ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হক মৎস্য খামার স্থাপনের উদ্দেশ্যে মহাসিং নদীর তীর থেকে অনেক দূরে বাঁধ নির্মাণ করেন। যার কারণে দেখার হাওরের বোরো ফসল অরক্ষিত থাকবে। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মানচিত্র অনুযায়ী দেখার হাওরের ভিতরে প্রবাহিত মহাসিং নদীর পূর্ব পাড় দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পূর্বপাগলা ইউনিয়নের অন্তর্গত। মহাসিং নদীর পূর্ব ও পশ্চিমপাড়ে বাঁধ থাকলেও ডুবন্ত বাঁধ মেরামতের কথা বলে নদীর তীরে কোন বাঁধের কাজ বা মেরামত না করেই সরকারি অর্থের অপচয় করা হয়েছে।