ভালোবেসে বিয়ে করেও প্রেমিক যুগলের আত্মহত্যা!
ভালোবেসে বিয়ের পর সে বিয়ে দুই পরিবারের সদস্যরা মেনে না নেওয়ায় বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় প্রেমিক যুগল গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এক সাথে গ্যাস ট্যাবলেট খেলেও প্রথমে প্রেমিকা ও পরে প্রেমিক মারা যায়। বগুড়ার শেরপুর থানা পুলিশ, নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, প্রায় বছর খানেক আগে থেকে উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের উঁচুলবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে এক সন্তানের বাবা আজিজুল হকের সঙ্গে পাশের বাঁশবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের মেয়ে এক সন্তানের মা কেয়া আক্তার টপির মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে ঢাকায় গিয়ে বিয়ে করেন। কয়েক মাস সংসারও করেন। এরপর চলতি জানুয়ারি মাসের শুরুতেই বাড়ি আসেন। কিন্তু তাদের এই বিয়ে উভয় পরিবার মেনে নিতে অসম্মতি জানায়। পরবর্তীতে এনিয়ে একাধিক গ্রাম্য সালিশ বৈঠক করা হলেও সমঝোতা হয়নি। এতে ক্ষোভ ও অভিমান করে গত ১৩ জানুয়ারি রাতে বাড়ির পাশের অবস্থিত একটি কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনে গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই প্রেমিক যুগল।
এক পর্যায়ে ঘটনাটি পরিবারের লোকজন জানতে পেরে দ্রুত তাদের উদ্ধার করে প্রথমে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে তাৎক্ষণিক তাদের বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নেয়ার পর ভোরে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা কেয়া আক্তার টপিকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর ১৪ জানুয়ারি রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আজিজুল হক। বগুড়ার শেরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আতোয়ার রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, উক্ত ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হবে।