নতুন সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভা বৈঠক কাল, রাষ্ট্রপতির ভাষণসহ ৬ এজেন্ডা
উল্লেখ্য, বছরের শুরুতেই দেশের রাষ্ট্রপতি সংসদে ভাষণ দেন। বছরের শুরুতে শীতকালীন অধিবেশনে তিনি যে ভাষণ দেবেন তা মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হতে হয়। মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন পাওয়া ভাষণই সংসদে দেন রাষ্ট্রপতি। এই ভাষণে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিবরণ তুলে ধরা হয়। জানা গেছে, রাষ্ট্রপতির ভাষণ ছাড়াও মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে আরও ৫টি আলোচ্যসূচি রয়েছে। এগুলো হচ্ছে, গণপ্রতিনিধিত্ব (সংশোধন) আইনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইনের খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন। জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন। বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র আইনের নীতিগত অনুমোদন এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩ এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সুরক্ষা বিধিমালা-২০১৫ এর আলোকে প্রতিবন্ধী বিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনার খসড়ার অনুমোদন। এসব আইন ও বিধির খসড়া গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার সদস্যদের কাছে পাঠানো হয়েছে। শপথ নেওয়ার পর মন্ত্রীরা কাজ শুরু করলেও এখন পর্যন্ত কোনও মন্ত্রিসভা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়নি।
প্রসঙ্গত, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৮৮ আসনে নিরঙ্কুশ জয় পায়। টানা তৃতীয় মেয়াদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বে ৪৭ সদস্যের মন্ত্রিপরিষদ সদস্য ৭ জানুয়ারি শপথ নেন, যার মধ্যে মন্ত্রী ২৪ জন, প্রতিমন্ত্রী ১৯ ও উপমন্ত্রী তিনজন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দায়িত্বে রয়েছে চার মন্ত্রণালয় ও দুই বিভাগ। সেগুলো হচ্ছে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়। ২৪ মন্ত্রী হলেন, আ ক ম মোজাম্মেল হক (মুক্তিযুদ্ধ), ওবায়দুল কাদের (সড়ক পরিবহন ও সেতু), আবদুর রাজ্জাক (কৃষি), আসাদুজ্জামান খান (স্বরাষ্ট্র), মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ (তথ্য), আনিসুল হক (আইন, বিচার ও সংসদ), আ হ ম মুস্তফা কামাল (অর্থ), তাজুল ইসলাম (স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়), ডা. দীপু মনি (শিক্ষা), এ কে আবদুল মোমেন (পররাষ্ট্র), এম এ মান্নান (পরিকল্পনা), নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন (শিল্প), গোলাম দস্তগীর গাজী (বস্ত্র ও পাট), জাহিদ মালেক (স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ), সাধন চন্দ্র মজুমদার (খাদ্য), টিপু মুনশি (বাণিজ্য), নুরুজ্জামান আহমেদ (সমাজকল্যাণ), শ ম রেজাউল করিম (গৃহায়ন ও গণপূর্ত), মো. শাহাব উদ্দিন (পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন), বীর বাহাদুর ঊশৈসিং (পার্বত্য চট্টগ্রাম), সাইফুজ্জামান চৌধুরী (ভূমি), নুরুল ইসলাম সুজন (রেলপথ), স্থপতি ইয়াফেস ওসমান (বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি) ও মোস্তাফা জব্বার (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি)। তাদের মধ্যে শেষের দুজন টেকনোক্র্যাট হিসেবে মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন।
১৯ প্রতিমন্ত্রী হলেন, কামাল আহমেদ মজুমদার (শিল্প), ইমরান আহমেদ (প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান), জাহিদ আহসান রাসেল (যুব ও ক্রীড়া), নসরুল হামিদ (বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ), আশরাফ আলী খান খসরু (মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ), মন্নুজান সুফিয়ান (শ্রম ও কর্মসংস্থান), খালিদ মাহমুদ চৌধুরী (নৌপরিবহন), জাকির হোসেন (প্রাথমিক ও গণশিক্ষা), শাহরিয়ার আলম (পররাষ্ট্র), জুনায়েদ আহমেদ পলক (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ), ফরহাদ হোসেন (জনপ্রশাসন), স্বপন ভট্টাচার্য (স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়), জাহিদ ফারুক (পানিসম্পদ), মো. মুরাদ হাসান (স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ), শরীফ আহমেদ (সমাজকল্যাণ), কে এম খালিদ (সংস্কৃতি), এনামুর রহমান (দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ), মাহবুব আলী (বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন) ও টেকনোক্র্যাট হিসেবে শেখ মো. আবদুল্লাহ (ধর্ম)। তিনজন উপমন্ত্রী হলেন, বেগম হাবিবুন নাহার (পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন), একেএম এনামুল হক শামীম (পানিসম্পদ) ও মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল (শিক্ষা)।