বনানীর রেইনট্রিতে ধর্ষণ মামলাঃ সাক্ষী ফারিয়া মাহবুবের ইউটার্ন
বনানীতে বাদী যখন মামলা করতে যান, তখন সঙ্গে গিয়েছিলেন কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ফারিয়া বলেন, বাদী তাঁকে খুঁজে বের করে কান্নাকাটি করেন। সে কারণে তিনি বাদী ও তাঁর বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করেন। পরে তাঁদের সঙ্গে থানায়ও যান। তবে মামলায় তাঁকে যে বাদীর খালাতো বোন বলে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে তিনি কিছু জানতেন না। তা ছাড়া ২০১৭ সালের ৭ মার্চ শাফাত আহমেদ তাঁকে কিছু না জানিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। বাদী ও আসামি দুজনেই জবানবন্দিতে বলেন, মার্চের মাঝামাঝিতে তাঁদের পরিচয়। এসব বিষয়ে জানতে বাদী ও তাঁর বান্ধবীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁদের সাড়া পাওয়া যায়নি। আদালতে তাঁদের পক্ষে লড়ছেন ফারুক আহম্মেদ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ফারিয়া মাহবুব আবার সংসারে ফিরে যেতে চান। সে কারণে এসব কথা বলতে পারেন। তাঁর উচিত আদালতে এসে কথা বলা। তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত বাদী তাঁর অবস্থান থেকে সরে আসেননি। তাঁরা ন্যায়বিচার চান ২০১৭ সালের ৬ মে বনানী থানায় মামলাটি করেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। তাঁর অভিযোগ, ওই বছরের ২৮ মার্চ জন্মদিনের পার্টির কথা বলে শাফাত ও তাঁর সহযোগী নাইম আশরাফ তাঁকে ও তাঁর বান্ধবীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন। আসামিরা তাঁদের মারধর করেন ও অস্ত্র দেখান। ধর্ষণের আগে তাঁদের নেশাজাতীয় মদ পান করান। বাদী থানায় যে মামলা করেন, সেখানে উল্লেখ করেন, থানায় তাঁর সঙ্গে ধর্ষণের শিকার আরেক বন্ধু ছিলেন। সঙ্গে তাঁর খালাতো বোন ফারিয়া মাহবুবও ছিলেন।