শখ ও সারিকা : নিভে যাওয়া দুই প্রদীপ
কিন্তু বিয়ের এক বছরের মাথায় ডিভোর্স হয় নিলয়ের সঙ্গে। ডিভোর্সের পরে অনেকটা আড়ালে চলে যান শখ। সবার সঙ্গে মেশাও নাকি বন্ধ করে দেন। অসৎসঙ্গ কিংবা মাদকদ্রব্য গ্রহণের অভিযোগও করেছেন কেউ কেউ। তবে সেসবের অকাট্য প্রমাণ কেউ সামনে হাজির করেননি। মাঝে মধ্যে খোলস ছেড়ে বের হয়েও আসেন এ মডেল-অভিনেত্রী। তবে সেটা নেহাতই নিজের প্রয়োজনে। পরিচিত কিছু পরিচালকের নাটকে অভিনয় করে আবারও ডুব দেন। তাই মিডিয়ায় তার প্রতি অবিশ্বাসের একটা স্তম্ভ তৈরি হয়ে গেছে নির্মাতাদের মধ্যে। আড়ালে থাকা শখ যদি আবারও ফিরে আসেন তাহলে সেই অবিশ্বাসের দেয়াল ভাঙা তার পক্ষে সম্ভব হবে না বলেই মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
অন্যদিকে সারিকাও অনেকটা শখের মতো। সিডিউল ফাঁসানোতে যার বিকল্প এখনও তৈরি হয়নি একজনও- তার সম্পর্কে এমনটাই চাউর আছে নাট্য জগতে। সারিকা একটা সময় টেলিভিশন মিডিয়ায় আধিপত্য বিস্তার করে ছিল। আশুতোষ সুজন পরিচালিত নাটক ‘ক্যামেলিয়া’ দিয়ে নাটকপাড়ায় শুরু হয় জীবন। এরপর আর থেমে থাকতে হয়নি। একটি মোবাইল অপারেটর কোম্পানির বিজ্ঞাপনে মডেলিং করে নিজের পরিচিতির পাল্লা আরও ভারী করেন। রাতারাতি ব্যস্ত তারকায় পরিণত হন। শুরুতে মডেল-অভিনেতা নিরবের সঙ্গে প্রেমে মজেছিলেন। কিন্তু সেটা স্থায়ী হয়নি। এরপর আরও অনেকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান সারিকা।
কিন্তু বিয়ে করেন মিডিয়ার বাইরে একজন ব্যবসায়ীকে। কিন্তু টেকেনি সেই বিয়েও। বিয়ের দু’বছরের মধ্যে কন্যাসন্তানের জননী হওয়ার পর ডিভোর্স হয়ে যায়। এরপর আড়ালে চলে যান তিনিও। বছর দুয়েক পর আড়াল ভেঙে নিয়মিত হওয়ার চেষ্টা করেন অভিনয়ে। কিন্তু সিডিউল ফাঁসানোসহ বেশকিছু অভিযোগের দায়ে মিডিয়ায় কয়েকটি সংগঠন কর্তৃক নিষিদ্ধ হন ছয় মাসের জন্য। হতাশা থেকে নেশা করেন- এমনটা শোনা গিয়েছিল তার বিরুদ্ধে। কিন্তু শখের মতো এসবের প্রমাণ নিয়ে কেউ সামনে আসেনি। নিষিদ্ধতা কাটিয়ে আবারও ফেরার চেষ্টা করেন। কিন্তু ততদিনে তাকে নিয়ে নির্মাতাদের মধ্যে আস্থার জায়গাটা নষ্ট হয়ে গেছে। ফেরা হয় না আর সারিকার। গত কয়েক মাস ধরে কোনো খবরই নেই সারিকার। ফের কখনও তাকে দেখা যাবে কিনা পর্দায় সেটাও কেউ বলতে পারছেন না। তবে বিজ্ঞদের মন্তব্য, শখ কিংবা সারিকা- যে-ই ফিরে আসুক কিংবা কাজ শুরু করুক, আগের অবস্থান কখনোই তারা ফিরে পাবেন না। কারণ তাদের নিয়ে যারা কাজ করবেন, সেসব নির্মাতাদের আস্থা তারা অনেক আগেই নষ্ট করে ফেলেছেন। তাছাড়া সামাজিকভাবেও তারা নিজেদের সহজলভ্য করে ফেলেছেন। স্বভাবতই মিডিয়ার যে আকর্ষণ, সেটা তাদের মধ্যে আর নেই।