অবৈধ সম্পর্ক ফাঁস, কিশোর-তরুণীর ‘সহমরণ’
অসম ও অবৈধ প্রণয়লীলা ফাঁসের জেরে সহমরণকেই সমাধান মনে করে এক সাথে গ্যাস ট্যাবলেট (ইঁদুর মারার ওষুধ) সেবন করে আত্মহত্যা করেছেন চৈতী রানী (২৮) তার তরুণ প্রেমিক কনক চন্দ্র রায় (১৮)। রোববার মাঝ রাতে দুইজনে এক সাথে তাদের বাড়ি সংলগ্ন পাটের ক্ষেতে গ্যাসের ট্যাবলেট খেয়ে শুয়ে পড়ে। মুহুর্তেই ট্যাবলেটের প্রতিক্রিয়া শুরু হলে দুইজনে ছটফট করতে থাকে। বুঝতে পেরে পাড়া-প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়ার প্রস্তুতির মধ্যেই মারা যায় তারা। বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের গাংনগর মাঝ পাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ হোসেন তৌফিক পাড়া- প্রতিবেশীদের বরাত দিয়ে জানান, দুই সন্তানের জননী চৈতী রানী বুদ্ধি প্রতিবন্ধী সুবন্ধু রায়ের স্ত্রী। একই মহল্লার বাসিন্দা অমল চন্দ্র রায়ের পুত্র কনক চন্দ্র রায়ের সাথে আত্মীয়তা সূত্রে চৈতী রানী অবৈধ প্রণয়লীলায় জড়িয়ে পড়েন। সম্প্রতি উভয়ের সম্পর্ক জানাজানি হয়ে গেলে পাড়া-প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনরা তাদের বিভিন্ন সময় অপমান-অপদস্ত করতে থাকে। এরই জের ধরে দুইজন সহমরণের সিদ্ধান্ত নিয়ে ইঁদুর নিধন ও পুকুরে ব্যবহারযোগ্য গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে মারা যায়। শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, পুলিশ সোমবার তাদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।