কোটি টাকার বিশ্বকাপ টিকিট কিনছে বিসিবি
নিজামউদ্দিন চৌধুরী জানান, ঢাকার ক্লাব ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের চাহিদা মেটাতে টিকিট কিনতে হচ্ছে। পরিচালকরাও বোর্ডের কাছ থেকে তা কিনতে আগ্রহ দেখিয়েছেন। বিশেষ করে ঈদ সামনে থাকায় চাহিদা বেড়ে গেছে। তাই টিকিট কিনতে কয়েক কোটি টাকা গুনতে হচ্ছে। কত টাকার টিকিট কেনা হচ্ছে? জবাবে বিসিবি সিইও বলেন, টিকিট হাতে পাওয়ার পর টাকার অংক জানাতে পারবো। খুব বেশি খরচ হবে না। আমরা আইসিসির কাছে যে পরিমাণ টিকিট চেয়েছি তা নাও পাওয়া যেতে পারে। কারণ অন্য বোর্ডগুলোও টিকিট কিনবে। ৩ কোটি টাকার সমপরিমাণ টিকিট চেয়ে ‘রিকুজিশন’ দেয়ার সুযোগ রেখেছে আইসিসি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিবি এক পরিচালক জানান, ৩ কোটি টাকা সমমূল্যেরই টিকিট চাওয়া হয়েছে। শেষ পর্যন্ত হয়তো ২ কোটি টাকার পাওয়া যাবে। একটি সূত্র জানিয়েছে, গত ২২ মে লন্ডন থেকে টিকিট সংগ্রহ করেছেন বোর্ডের একজন কর্মকর্তা। বেশিরভাগ টিকিটই সেখান থেকে পার্সেলে করে ঢাকায় পাঠিয়েছেন তিনি। দু’একদিনের মধ্যেই তা পৌঁছে যেতে পারে। আর কিছু টিকিট ইংল্যান্ডে জাতীয় দলের ম্যানেজারের কাছে রেখে দেয়া হয়েছে।
বিশ্বকাপের টিকিট কিনতে আইসিসির সঙ্গে যাবতীয় যোগাযোগ করেছেন বিসিবি প্রেসিডেন্টের পিএস তৌহিদ মাহমুদ। তিনি বলেন, কেনা টিকিটের ১০ ভাগ রাখবে বিসিবি। সেগুলো রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় দেয়া হতে পারে। বাকি ৯০ ভাগ কেনে নেবেন বোর্ড পরিচালক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। কেবল টাকা পরিশোধের পরই টিকিট দেয়া হবে। তবে বিসিবির কাছ থেকে টিকিট পাওয়া নিয়ে শংকায় আছেন স্টেকহোল্ডাররা। এক পরিচালক জানান, ক্রিকেট সংশ্লিষ্টদের কথা বলে টিকিট কেনা হচ্ছে। তবে প্রভাবশালীরাই তা ভাগ বাটোয়ারা করে নিতে পারেন।