হাউস অব কমন্সে ছয়দফা, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ শীর্ষক সেমিনার
১৯৬৬ সালের ৭ জুন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছয়দফা ঘোষণার মাধ্যমে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীকে জানিয়ে দিয়েছিলেন পাকিস্তানের দুই অংশের মধ্যে যদি ন্যায় ও সমতাভিত্তিক সমাজ, সরকার ও রাষ্ট্রকাঠামো গঠন করা না হয় তাহলে বাঙালিদের সামনে স্বাধীনতা ছাড়া বিকল্প নেই। তিনি ছয়দফাকে তাই বাঙালির মুক্তিসনদ আখ্যায়িত করেন। গত ৭ জুন ঐতিহাসিক ছয়দফা দিবস উপলক্ষে বিলেতে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে গঠিত নাগরিক কমিটির উদ্যোগে হাউস অব কমন্সে আয়োজিত ছয়দফা, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা আরও বলেন, পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী যখন উর্দুকে ১৯৪৮ সালেই পাকিস্তানের রাষ্ট্র হিসেবে চাপিয়ে দিতে চাইলো তখন থেকেই মূলত বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার স্বপ্ন বুনতে শুরু করেন এবং বাঙালি জাতিকে ধীরে ধীরে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করেন। আর ছয়দফা এবং সত্তরের নির্বাচন ছিলো চূড়ান্ত লড়াইয়ে শেষ প্রস্তুতিপর্ব। নাগরিক কমিটির সমন্বয়ক ও বঙ্গবন্ধু লেখক সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি সুজাত মনসুরের সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ব্রিটিশ বাঙালি নবপ্রজন্মের প্রতিনিধি সেঁজুতি মনসুর।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু লেখক সাংবাদিক ফোরামের সহসভাপতি তওহীদ ফিতরাত হোসেন, প্রধান অতিথি ছিলেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মি. স্টীপেন টিমস্ এমপি, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. হরমুজ আলী, যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, প্রাক্তন সচিব আতাহারুল ইসলাম ও কলকাতার সংগীতশিল্পী ও কম্পোজার সৌমেন অধিকারী। সেমিনারের অন্যতম আকর্ষণ ছিলো সাত বছরের শাহীল মোস্তাফিজুর রহমানের কণ্ঠে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের অংশ বিশেষ হুবহু ভঙ্গিতে উচ্চারণ এবং নতুন প্রজন্মের সাজিদ শিকদার, সামিনুর রহমান, তাসনিম ফারিয়া রশীদ, কাজী মাখনুন, সানজিদা বিশ্বাস, নোসাইবা অহনা, কাজী প্রণয় ও কাজী প্রত্যয়ের বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ বিষয়ক প্রাঞ্জল উপস্থাপনা। এছাড়া শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কামাল দেওয়ান, শম্পা দেওয়ান, কাজী কল্পনা, সৈয়দ এহসানুল হক, লুৎফর রহমান ছায়াদ, কাউন্সিলর নাজমা রহমান, আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা, এডভোকেট জানে আলম ও কাউন্সিলর আবু সামিত প্রমুখ। উল্লেখ্য জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।