সুখবর পাচ্ছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা
বছরে শুধুমাত্র তিন মাস নয়, বছরজুড়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলি করার চিন্তা-ভাবনা করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। অনলাইনের আওতায় এনে শূন্য আসন ও প্রয়োজনভিত্তিক সারা বছর শিক্ষক বদলি কার্যক্রম চালু করা হবে। এতে শিক্ষক বদলিতে হয়রানি ও দুর্নীতি বন্ধ হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বুধবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাসিক সমন্বয় সভায় নীতিনির্ধারকরা এ বিষয়ে একমত হয়েছেন। দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে সভা সূত্রে জানা গেছে। সভা সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক বদলি কার্যক্রম নিয়ে বিপাকে পরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই)। প্রতিদিন মন্ত্রী ও সচিবের দফতরে শিক্ষক বদলি তদবির নিয়ে ভিড় করেন। তাদের ভিড়ে মন্ত্রণালয়ের দৈনদিন কার্যক্রমে চরম ব্যাঘাত ঘটে। এ ছাড়াও নানা মহলের ব্যক্তিরা তাদের মনোনীত শিক্ষকদের বদলি করতেও ভিড় জমান। নির্ধারিত তিন মাস শিক্ষকদের বদলি কার্যক্রম চালু থাকায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এসব কারণে বদলি কার্যক্রম বছরজুড়ে করার প্রস্তাব করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। এরপর সচিব আকরাম আল হোসেনসহ উপস্থিত সকলে এ প্রস্তাবে একমত হন।
সম্প্রতি বদলি নীতিমালায় শুধুমাত্র নির্ধারিত তিন মাস শিক্ষক বদলি বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ফলে বিশেষ কোনো কারণ ছাড়া জানুয়ারি থেকে মার্চের পরে আর শিক্ষকদের বদলি করা হয় না। এ কারণে প্রতিকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে। এ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে বর্তমানে বদলি নীতিমালা পরিবর্তন করে সারা বছর শিক্ষক বদলি কার্যক্রম চালু করতে একমত হয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।সভায় উপস্থিত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বদরুল হাসান বাবুল বলেন, নির্ধারিত তিন মাস শিক্ষক বদলি কার্যক্রম চালু হওয়ায় এ সময়টায় নানা ধরনের প্রতিকূলতা সৃষ্টি হয়। এজন্য বছরজুড়ে শিক্ষক বদলি কার্যক্রম চালু করার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। বদলি কার্যক্রম অনলাইনের আওতায় এসে এটি সারাবছর চালু করার চিন্তা-ভাবনা চলছে। তিনি বলেন, সারাবছর শিক্ষক বদলি কার্যক্রম চালু থাকলে বদলির তদবিরে উপচেপড়া মানুষের ভিড় সৃষ্টি হবে না। শিক্ষক বদলির জন্য কোনো কাজেও ব্যাঘাত ঘটবে না। বর্তমান বদলি নীতিমালা সংশোধন করে দ্রুত এটি পরিবর্তন করা হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।