ফরিদপুরে সিরিজ বোমা হামলা: ৯ আসামির যাবজ্জীবন
২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় ফরিদপুরে করা মামলায় নয়জনকে সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৩১ জুলাই) ফরিদপুরের বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মতিয়ার রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে তাঁদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তাঁদের আরও ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। এ মামলায় মোট ১৪ জন আসামি ছিলেন। আদালত বাকি পাঁচ আসামিকে বেকসুর খালাস দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত নয় আসামির মধ্যে আটজন রায় ঘোষণার সময় আদালতে হাজির ছিলেন। একজন পলাতক। রায় ঘোষণার সময় আদালত বলেন, আসামিদের হাজতবাস যেদিন থেকে শুরু হয়, সেদিন থেকে তাঁদের কারাদণ্ডের মেয়াদ ধরা হবে। পলাতক আসামি গ্রেপ্তার হওয়ার দিন থেকে এ দণ্ড কার্যকর হবে।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার দুর্গাপুর এলাকার আমির সোহেল, বোয়ালমারী বাজার এলাকার মো. মাসুম বিল্লা, ফরিদপুর শহরের অম্বিকাপুর এলাকার মো. রায়হান মোল্লা, শহরের আলীপুর এলাকার মুর্তজা, ফরিদপুর সদরের হাবেলী দয়ারামপুর এলাকার মো. আবদুল গফফার, মধুখালী উপজেলার মথুরাপুর এলাকার মো. আমির হোসেন, একই উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের মো. তোফাজ্জেল হোসেন ও ভাটি মথুরাপুর এলাকার মো. খলিলুর রহমান এবং মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার মজুমদারকান্দি গ্রামের আব্দুর রউফ। এর মধ্যে ফরিদপুর শহরের আলীপুর এলাকার মুর্তজা পলাতক আছেন। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- শহরের দক্ষিণ ঝিলটুলী মহল্লার মো. মিজানুর রহমান, শহরের টেপাখোলা মহল্লার মো. ইউসুফ আলী, শহরের মুজিব সড়ক এলাকার মো. আরিফ খান, আলফাডাঙ্গা উপজেলার হিদাডাঙ্গা গ্রামের মো. ইয়াছিন শিকদার ও বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার শাষণ গ্রামের মো. তরিকুল ইসলাম। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি গোলাম রব্বানী বলেন, সব আসামির সাজা না হওয়া রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সকাল ১০টা হতে ১১টার মধ্যে দেশের অন্যান্য স্থানের মতো ফরিদপুর শহরের ৮টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে ওই দিনই ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে।