ঐতিহাসিক রায়ের পর বসছে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের অধিবেশন
বার্তা ডেস্ক:: প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পার্লামেন্ট স্থগিতাদেশকে আদালত বেআইনি বলে ঘোষণা করার একদিন পরেই বসছে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের অধিবেশন। বুধবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১১ টা থেকে অধিবেশন শুরু হচ্ছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী বরিসের পার্লামেন্ট স্থগিতের আদেশকে বেআইনি ঘোষণা করে ব্রিটেনের সুপ্রিম কোর্ট। যুক্তরাজ্যের সর্বোচ্চ আদালতের ১১ বিচারপতি সর্বসম্মতভাবে এ রায় ঘোষণা করেন। সর্বোচ্চ আদালত জানায়, ৩১ অক্টোবর ব্রেক্সিট কার্যকর করার আগে পার্লামেন্ট স্থগিত করার প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত সঠিক ছিলো না। রায় ঘোষণার সময় প্রধানমন্ত্রী বরিসের সমালোচনা করে সুপ্রিম কোর্টের প্রেসিডেন্ট লেডি হ্যালে বলেন, তার এই সিদ্ধান্ত আমাদের গণতন্ত্রের মূল বিষয়গুলির উপর চরম প্রভাব ফেলেছে। এরপরই সুপ্রিম কোর্টের এই রায় সত্ত্বর কার্যকর করা হবে বলে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিট থেকে জানানো হয়। বুধবার সকালে পুনরায় পার্লামেন্ট অধিবেশন চালু করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এর আগে রানির অনুমতিতে গত ১০ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট পরবর্তী পাঁচ সপ্তাহের জন্য মুলতবি ঘোষণা করেন বরিস জনসন। নিজের এই সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরিস বলেছিলেন, আগামী ১৪ অক্টোবর পার্লামেন্টে রানির ভাষণ সামনে রেখে তিনি যাতে তার সরকারের কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করতে পারেন সেইজন্য পার্লামেন্ট স্থগিত চেয়েছেন। তবে সমালোচকদের মতে, পার্লামেন্ট সদস্যরা যাতে তার ব্রেক্সিট পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলতে না পারেন সেজন্য তাদের পাশ কাটাতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছেন জনসন।
ফলে পার্লামেন্ট মুলতবির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এডিনবার্গে স্কটিশ আদালতে আপিল করেন স্কটিশ ন্যাশনাল পাটির (এসএনপি) এমপি জোয়ান্ন চেরি ও গিয়ানা মিলার। তারা ৩১ অক্টোবর ব্রেক্সিটের আগে প্রধানমন্ত্রী পার্লান্টে মুলতবি করার সিদ্ধান্তকে সংসদ সদস্যদের ক্ষমতাকে সীমিত করার ষড়যন্ত্র হিসবে উল্লেখ করে আদালতে একটি পিটিশন দায়ের করেন। ওই পিটিশনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার পার্লামেন্ট স্থগিত করার সিদ্ধান্তকে অবৈধ বলে ঘোষণা করে রায় দেয় আদালত। আদালতের এই রায়কে ‘ঐতিহাসিক’বলে উল্লেখ করেছেন লেবার দলেল এমপি পল সুয়েনিসহ আরো প্রায় ৭০ নেতা। একই সঙ্গে তারা প্রধানমন্ত্রী বরিসের পদত্যাগ দাবি করে বলেন,‘তার সরে যাওয়া উচিত।’ সূত্র: আল জাজিরা