বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের ঝাড়ু মিছিল
ভিসি অপসারণের দাবিতে টানা ৭ম দিনেও অব্যাহত আছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। এদিকে এই আন্দোলনের মাঝেই মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্কিত উপাচার্য প্রফেসর ড. খন্দকার নাসিরউদ্দিন গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যদি এই মিডিয়া না থাকতো, আপনারা (মিডিয়া) কভারেজ বন্ধ করে দেন, মাত্র ২ ঘণ্টায় আমি সব সমাধান করে ফেলব। তারা (শিক্ষার্থীরা) কি শিখছে আমাদের কাছে। তারা আন্দোলনের নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝোঁপঝাড়ে অশালীন ও অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়। এছাড়াও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তাদেরকে (শিক্ষার্থীরা) মিডিয়ায় দেখাচ্ছে তারা মনে করছে তারা নেতা হয়ে গেছে। তাই এই সব ছেলে-মেয়ে আন্দোলনে আসছে। এদিকে আজ বুধবার উপাচার্যের এমন বক্তব্যকে মিথ্যাচার ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য উল্লেখ করে এর প্রতিবাদে সকাল ১০টায় সংবাদ সম্মেলন করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
লিখিত বক্তব্যে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে গণিত বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আল গালিব বলেন, মঙ্গলবার উপাচার্য গণমাধ্যমে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে যে বক্তব্য দেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যাচার ও কুরুচিপূর্ণ। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তিনি বলেন, উপাচার্য বলেছিলেন আমরা নাকি শুধু মিডিয়ায় চেহারা দেখানোর জন্য আন্দোলন করছি। তাহলে আমরা উপাচার্যকে বলতে চাই, আমাদের বিশজন ভাই-বোন যে রক্তাক্ত হলো সেটাও কি শুধু মিডিয়ায় দেখানোর জন্য? তিনি আরো বলেন, উপাচার্য বলেছেন, আমরা যদি এই ন্যায্য আন্দোলন করি তাহলে দেশের ৪২টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকেও পদত্যাগ করত হবে। তাহলে আমরা বলতে চাই, ভিসি কি মনে করেন দেশের সবকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আপনার মতো দুর্নীতিবাজ? শিক্ষার্থী আল গালিব বলেন, আমাদের এই বিশ্ববিদ্যালয়টি সম্পূর্ণ সি সি ক্যামেরায় নিয়ন্ত্রিত। সুতরাং আন্দোলনরত কোনো শিক্ষার্থী অশালীন কোনো কাজ করতে পারে না। এদিকে, উপাচার্যের গণমাধ্যমে দেয়া বক্তব্যের প্রতিবাদে সকাল ১১টায় ক্যাম্পাসে ঝাড়ু মিছিল হয়। মিছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা মোড় থেকে শুরু হয়ে শহীদ মিনার, তারপর প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।