ডাকসুর সভায় ধর্মভিত্তিক রাজনীতি চর্চা নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির চর্চা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) কার্যনির্বাহী সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ধর্মভিত্তিক রাজনীতির চর্চা নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু গত ১১ই মার্চ অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে একটি ধর্মীয় সংগঠনের ছাত্র সংগঠন অংশ নিলে ফের ধর্মীয় রাজনীতির চর্চা নিষেদ্ধের দাবি উঠে। বৈঠকে ডাকসুর এজেন্ডা অনুযায়ী বিষয়টি উত্থাপন করেন সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক মাজহারুল কবির শয়ন। এরপর সর্বসম্মতিক্রমে বিষয়টি গৃহীত হয়। সভা শেষে ডাকসুর সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অতীত ঐতিহ্য অনুযায়ী ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এদিকে ডাকসুর জিএস গোলাম রাব্বানীর দায়িত্বে থাকা না থাকা নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। বিষয়টি ভিপি উত্থাপন করলেও এ নিয়ে আলোচনা তেমন আগায়নি বলে জানিয়েছেন ডাকসুর এক সদস্য। সভা শেষে ডাকসুর স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক সাদ বিন কাদের মানবজমিনকে বলেন, আমাদের কার্যনির্বাহী সভায় বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। যার মধ্যে রয়েছে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির চর্চা ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও গণরুমগুলোকে আধুনিকায়ন করে সেগুলোকে বন্ধুরুম করা হবে। লাইব্রেরিতে কেবলমাত্র নিয়মিত শিক্ষার্থীরাই অধ্যয়ন করতে পারবে। যাদের ¯œাতকোত্তর শেষ তারা লাইব্রেরি ব্যবহার করতে পারবেন না। এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে মাস্টারপ্লান হাতে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ মাস্টারপ্লানের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীও কনসার্ন রয়েছেন। আমরা বলেছি, ডাকসুও এ কাজে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সহযোগিতা করবে।