অবশেষে পদত্যাগ করলেন ভিসি নাসির উদ্দিন
অবশেষে নানা নাটকীয়তায় পদত্যাগ করলেন গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিন। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) মো. আবদুল্লাহ আল হাসান চৌধুরীর কাছে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন। এর আগে নাসিরউদ্দিনকে প্রত্যাহার করার সুপারিশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন-ইউজিসি প্রতিবেদন দিলে রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) পুলিশি পাহারায় বশেমুরবিপ্রবি ক্যাম্পাস ছাড়েন খোন্দকার নাসিরউদ্দিন। রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বরাবর পাঠিয়ে উচ্চশিক্ষা নিয়ন্ত্রক সংস্থার তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদনে তিনটি সুপারিশ করা হয়। সেগুলো হলো, উপাচার্য খোন্দকার নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ উঠেছে তার প্রমাণ হয়েছে, তিনি (খোন্দকার নাসির উদ্দিন) বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার যোগ্য নন, তাই তাকে উপাচার্য পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া এবং তার বিরুদ্ধে আনা বিভিন্ন অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় সেসব বিষয়ে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ। এদিকে উপাচার্য ক্যাম্পাস ছাড়লেও আন্দোলন ছাড়েননি বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ভিসির পদত্যাগ ও পতনের দাবিতে টানা ১২ দিনের মতো তীব্র আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
প্রসঙ্গত, গত ১১ সেপ্টেম্বর আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ও ক্যাম্পাস সাংবাদিক ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পরে জিনিয়ার বহিষ্কারাদেশ তুলে নেয়াসহ আরও কয়েকটি দাবি কর্তৃপক্ষ মেনে নিলেও উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে অন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ব্যাপক আকার ধারণ করে। কার্যত অচল হয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম। আন্দোলনের মুখে গত শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে সকাল ১০টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়। নির্দেশ উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যান। এ অবস্থায় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন গোবরা এলাকায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে বহিরাগতরা। এতে ২০ শিক্ষার্থী আহত হন। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ওইদিন দুপুরে পদত্যাগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর হুমায়ুন কবির।