শর্টকাট রাস্তা দিয়ে অভিনয়শিল্পী হওয়া সম্ভব নয়
চিত্রলেখা গুহ। এদেশের টেলিভিশন নাটকের প্রিয় মুখ। অসংখ্যা জনপ্রিয় নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। মঞ্চ থেকে শুরু করেন নিজের ক্যারিয়ার। এরপর ১৯৯৩ সালে বিটিভির সাপ্তাহিক নাটকের মধ্য দিয়ে অভিষেক হয় টিভি নাটকে। এরপর আর থেমে থাকতে হয়নি তাকে। এখন পর্যন্ত নিজের অভিনয় গুণ দিয়ে দর্শকদের পছন্দের তালিকায় রয়েছেন তিনি। সার্বিক বিষয় নিয়ে কথা বললেন বিনোদন প্রতিদিনের সঙ্গে—কেমন আছেন?
বেশ ভালো আছি।
মঞ্চের মধ্য দিয়ে আপনার অভিনয় জীবন শুরু হয়। পরবর্তীতে টেলিভিশনে এলেন। এই পথচলাটা প্রসঙ্গে শুরুতেই জানতে চাই—
‘অঙ্গন থিয়েটার’-এর মধ্য দিয়ে আমার অভিনয় শুরু হয়। এরপর ঢাকায় ‘থিয়েটার আরমবাগ’-এর সাথে যুক্ত হই। সেখান থেকে টেলিভিশনে আসা। ১৯৯৩ সালে আমি প্রথম বাংলাদেশ টেলিভিশনে অডিশন দেই। অডিশন শেষে আমাকে বলা হলো প্যানেলে যোগাযোগ করতে। তখন প্যানেল কী বুঝতাম না। প্যানেলে যাওয়ার পর আমার বাসার ফোন নাম্বার দিয়ে এলাম। সেখান থেকে দুপুরে বাসায় যাই। বিকেলে বিটিভি থেকে আমাকে ফোন করে বলা হয় এ সপ্তাহের নাটকে আমি অভিনয় করবো। আনন্দের পাশাপাশি আমি সত্যিই খুব চমকেও গিয়েছিলাম। সেখান থেকেই টেলিভিশনে অভিনয়টা শুরু হয়। সেই বছর সেপ্টেম্বরের ২ তারিখ আমার প্রথম নাটক প্রচার হয়।
অভিনয়ের অভিজ্ঞতা যদিও মঞ্চ থেকেই আপনার কিন্তু ক্যামেরার সামনে অভিনয়ের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা মধ্যে পড়তে হয়েছে কিনা?
ক্যামেরার সামনে কাজ তো খানিকটা ভিন্ন। আমাকে প্রথমে বলা হলো কোনো ধরনের ‘ফলস লুক’ দেওয়া যাবে না। আমি তখন ‘ফলস লুক’ কী বুঝতাম না। এরপর আমাকে বুঝিয়ে দেওয়া হলো অভিনয়ের সময় যেনো ক্যামেরার দিকে না তাকাই। এমন বিচ্ছিন্ন অনেক সমস্যায় তো পড়তে হয়েছেই।
আপনার এক সময় যেই ধরনের নাটক করতেন এখন সেই ধরনের নাটকের সংখ্যা কমেছে কি মনে করেন?
আমি ইতিবাচক ও আশাবাদী একজন মানুষ। এখনো সেই ধরনের নাটক হচ্ছে। তবে সংখ্যাটা কমেছে। সময়ের সঙ্গে অনেক কিছুরই পরিবর্তন হয়। মানুষের চাহিদারও পরিবর্তন হয়।
নতুন যারা কাজ করছেন। তাদের প্রসঙ্গে কিছু বলতে চান?
আমি কোনো পরামর্শ দিতে চাই না। শর্টকাট রাস্তা দিয়ে অভিনয়শিল্পী হওয়া সম্ভব নয়। পরিশ্রমের মধ্য দিয়েই অভিনয়শিল্পী হতে হবে। আর যেই কাজটি আমরা করবো। সেটি যেনো বুঝে করি। আর ভালোবাসা থাকলে সব কাজই আপন মনে হয়।