‘তোর কারণে আমাদের ফাঁসি হয়েছে’ বলেই অধ্যক্ষ সিরাজকে চড়-থাপ্পড়
নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার রায় শোনার পর এ ক্ষুব্ধ আসামিদের মধ্যে কেউ কেউ মামলার প্রধান আসামি ও নির্দেশদাতা অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দ্দৌলার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে অন্য আসামিরা বুকে-মুখে চড়-থাপ্পড় মারা শুরু করেন। অধ্যক্ষ সিরাজকে মারতে মারতে এ সময় আসামিদের কেউ কেউ বলতে থাকেন, ‘তোর কারণে আমাদের ফাঁসি হয়েছে।’ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বেলা সোয়া ১১টার ফাঁসির আদেশের পর অধ্যক্ষ সিরাজসহ ১৬ আসামিকে কারাগারে নেয়ার জন্য প্রিজনভ্যানে তোলার সময় এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, নুসরাত হত্যা মামলায় ১৬ আসামিকে ফাঁসির আদেশের পর কারাগারে নেয়ার সময় মামলার প্রধান আসামিসহ অন্যদের প্রিজনভ্যানে তোলা হয়। এ সময় তাদের কেউ কেউ কাঁদছিলেন। প্রিজনভ্যানে তোলার পর অন্যান্য আসামি সিরাজকে হঠাৎ করেই পেটাতে থাকেন। সে সময় তাকে বুকে-মুখে চড়-থাপ্পড় মারা শুরু করেন। অধ্যক্ষ সিরাজকে মারতে মারতে এ সময় আসামিদের কেউ কেউ বলতে থাকেন, ‘তোর কারণে আমাদের ফাঁসি হয়েছে।’ এ সময় আসামি মো. জোবায়ের, জাবেদ হোসেন, মো. শামীম, প্রভাষক আফছার উদ্দিন, হাফেজ আবদুল কাদের কান্নায় চিৎকার করতে থাকেন।
তারা বলতে থাকেন, আত্মহত্যাকে হত্যা বলা হয়েছে। পরে পুলিশ গিয়ে আসামিদের শান্ত করেন। এরপর প্রিজনভ্যান চলা শুরু করে কারাগারের দিকে। এর আগে নুসরাত হত্যা মামলায় সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলাসহ ১৬ আসামিরই মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আসামিদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এই টাকা আদায় করে নুসরাতের পরিবারকে দেয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত। ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ এ রায় ঘোষণা করেন।