সুনামগঞ্জ  :: সুনামগঞ্জ পৌর শহরের বড়পাড়া আবাসিক এলাকায় বিয়ের আসরে উপস্থিত হয়ে বাল্যবিয়ে পন্ড করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিয়ের আসরে গিয়ে বিয়েটি ভেঙ্গে দেওয়া হয়। পুলিশের উপস্থিতি ঠের পেয়ে পালিয়ে যান বাল্যবিয়ের কাজিসহ সংশ্লিষ্টরা। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বড়পাড়া এলাকার সেবু মিয়ার মেয়ে স্থানীয় একটি মাদরাসায় দশম শ্রেণিতে পড়ালেখা করেন। তার মেয়েকে জামালঞ্জের তেলিয়াপাড়া গ্রামের ফরিদ মুসার ছেলে মাদরাসা শিক্ষক মাওলানা বিন ফরিদ মুসার সঙ্গে শুক্রবার বিয়ের দিন ধার্য্য করা হয়। বিয়ে উপলক্ষে বাড়িতে বিয়ের সকল আয়োজন সম্পন্ন করা হয়। বরও আসেন বরযাত্রীসহকারে বিয়ে করে বউ নিয়ে যেতে। বাল্যবিয়ের বিষয়টি অবগত হয়ে স্থানীয় এক ব্যক্তি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ফোন দিলে তিনি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ও স্থানীয় থানার পুলিশকে পাঠিয়ে বিয়ে ভেঙ্গে দেওয়ার নির্দেশ দেন।  প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এসময় বর ও কনে পক্ষের লোকজন বিয়ের খাবারের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এই সময় পুলিশ বাগড়া দিয়ে বিয়েটি পন্ড করে দেয়। বর ও কনের পক্ষে তাদের অভিভাবকরা বিয়ে না দিতে মুচলেকা দেন। সদর থানার এসআই মো. মুহিত মিয়া বলেন, এলাকাবাসী বাল্যবিয়ের খবর স্থানীয় ইউএনওকে অবগত করলে তিনি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পাঠিয়ে বিয়ে ভেঙ্গে দেওয়ার নির্দেশ দেন। আমরা বাল্যবিয়ের প্রমাণ পেয়ে বিয়ে ভেঙ্গে দিয়েছি। বর ও কনের পরিবারের মুচলেকা নেওয়া হয়েছে।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn