সরকার নীতিগত সংস্কারের কাজ করছে : পরিকল্পনামন্ত্রী
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, আর্থিক খাতের সবচেয়ে বড় সমস্যা এখন ব্যাংকিং খাত। এই খাতের সংস্কার সরকার অবশ্যই করবে, এ বিষয়ে আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি। শনিবার বাংলাদেশ ইকোনমিক ফোরামের সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এম এ মান্নান বলেন, সরকার ব্যাংকিং খাতের সংস্কার করতে চাইলেও উন্নয়নের স্বার্থে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সরকারকেও কম্প্রোমাইজ করতে হয়। রাজধানীর একটি হোটেলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) চেয়ারম্যান জায়েদি সাত্তার, নির্বাহী পিরচালক ড. আহসান এইচ মনসুর, সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান এবং সানেম নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান বক্তব্য রাখেন। এম এ মান্নান বলেন, উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে বিশেষ করে দেশের আর্থিক খাতগুলোর সংস্কারের প্রয়োজন আছে, এটা আমরা স্বীকার করি। তবে চলমান উন্নয়ন থেমে যাওয়ার ভয় রয়েছে। বর্তমান উন্নয়ন ধরে রেখে সরকার নীতিগত সংস্কারের কাজ করছে।
অনুষ্ঠানে পিআরআই’র ভাইস চেয়ারম্যান সাদিক আহমেদ একটি গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করে বলেন, ব্যাংকের সুদ হার, খেলাপি ঋণ, মূলধন ঘাটতি বেসরকারি বিনিয়োগের অন্যতম বাধা। কয়েক বছর ধরে বেসরকারি বিনিয়োগ ২০-২৩ শতাংশের আশপাশে ঘোরাফেরা করছে। অনুষ্ঠানে ইনস্টিটিউট অব ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক মোস্তফা কে মুজেরী বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে আর্থিক খাত। পাশাপাশি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অসুস্থ প্রতিযোগিতায় ঝুঁকির মুখে অর্থনীতি। এই সমস্যার সমাধানে শক্তিশালী শেয়ারবাজার, বন্ড মার্কেট এবং সরকারি পর্যায় থেকে নীতিগত সংস্কারের কোনও বিকল্প নেই। অনুষ্ঠানে আহসান এইচ মনসুর বলেন, আমাদের রফতানি বাণিজ্যের উন্নয়নে পোশাক খাত ছাড়াও রফতানি বহুমুখীকরণের জন্য বৈচিত্র আনতে হবে। পোশাক শিল্পের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে পণ্য বহুমুখীকরণের কোনও বিকল্প নেই।