তাহিরপুরে ইউএনও’র হস্তক্ষেপে মুক্ত প্রবাসীর স্ত্রী-সন্তান
তাহিরপুর:: তাহিরপুর উপজেলায় প্রতিবেশী অমানবিক আচরণের কারণে দীর্ঘ এক মাস গৃহবন্দী থাকার সংবাদ প্রকাশের পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যানার্জির হস্তক্ষেপে মুক্ত হয়েছেন প্রবাসীর স্ত্রী মাফিয়া বেগম ও তার সন্তান। শনিবার (৯ মে) দুপুরে ইউএনও তাহিরপুর উপজেলা প্রেসক্লাবে সভাপতি আমিনুল ইসলাম, সহসভাপতি বাবরুল হাসান বাবলু, স্থানীয় মেম্বার মতিউর রহমান মতিসহ স্থানীয় এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে চলাচলের সড়কের বাঁশের বেড়া তুলে দেন এবং প্রতিবেশী জিয়াউর রহমানকে সর্তক করেন। মাফিয়া বেগম উপজেলা সদর ইউনিয়নের মধ্য তাহিরপুর গ্রামের মালয়েশিয়ার প্রবাসী মতিউর রহমানের স্ত্রী। জানা যায়, উপজেলা সদরের মধ্য তাহিরপুর গ্রামে একটি দুচালা টিনের ছাপটা ঘরে বাস করেন গৃহবধূ মাফিয়া বেগম। স্বামী মতিউর রহমান দীর্ঘ ৩ বছর ধরে মালয়েশিয়া বসবাস করেন। প্রতিবেশী জিয়াউর রহমান মাফিয়া বেগমের চলাচলের রাস্তায় বাঁশ দিয়ে বেড়া দেয়ায় একমাস ধরে গৃহবন্ন্দী অবস্থায় রয়েছেন। জরুরী প্রয়োজনে বাসার হাট বাজার তিনি লোক মারফত কেনাকাটা করে বাঁশের বেড়ার উপর দিয়েই তিনি আনা-নেওয়া করছেন। তার স্বামী ৩ বছর ধরে মালয়েশিয়ায় বসবাস করেন। ১২ বছর পূর্বে এ জায়গা তার স্বামী ক্রয় করেছেন। কেনার পর থেকে এতদিন চলাফেরা করতে কোনও ধরনের অসুবিধা হয়নি। একমাস পূর্বে প্রতিবেশী জিয়াউর রহমান তার চলাচলের রাস্তায় বাঁশের বেড়া দেওয়ায় তিনি ৭ বছরের একটি পুত্র সন্তান নিয়ে গৃহবন্দি হয়ে পড়ে। বাসার হাটবাজার তিনি মোবাইলে লোক মারফত এনে বাঁশের বেড়ার উপর দিয়েই আনা নেওয়া করেন। শিশুপুত্রটিও কোন খেলাধুলা করতে পারছিল না।
জিয়াউর রহমানের অভিযোগ ছিল ওই গৃহবধূ নানাভাবে ঝগড়া করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আসছিল। তাই তিনি চলাচলের সড়কের বাঁশের বেড়া দিয়ে দেন। প্রবাসীর স্ত্রী মাফিয়া বেগম জানান, দীর্ঘ দিন গৃহবন্দী থাকার পর আজ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে মুক্ত হলাম। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যানার্জি জানান, প্রতিবেশী চলাচলের সড়কের বাঁশের বেড়া দিয়ে বাধা সৃষ্টি করায় প্রবাসীর স্ত্রী এক সন্তান নিয়ে গৃহবন্দী আছেন শুনে সেই বাঁশের বেড়া তুলে দিয়েছি।