আ.লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ১০ জন গুলিবিদ্ধ
বার্তা ডেস্ক :: পাবনার সুজানগরে আওয়ামী লীগের বিবাদমান দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ১০ জন গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৬ জনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের অবস্থা গুরুতর। রোববার দুপুরে উপজেলার আমিনপুর থানার রানীনগর ইউনিয়নের রানীনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেখানে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, রোববার বেলা ১২টার দিকে রানীনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহাদত আলী মাস্টারের বাড়িতে প্রতিপক্ষ খাইরুল গ্রুপের লোকজন হামলা চালায় ও বাড়িঘর ভাঙচুর করে। এসময় দু’গ্রুপের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বাধে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপি এ সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। খবর পেয়ে সুজানগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। দুপুরে পুলিশ শাহাদত মাস্টারসহ তার ৪ ছেলেকে বাড়ি থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়। বিকেল ৩টার দিকে গুলিবিদ্ধ ও গুরুতর আহত ৬ জনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে করা হয়। আহত অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
রানীনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহাদত আলী মাস্টারের ছেলে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. শাহিন জানান, রানীনগর গ্রামের জনৈক সবুজ হোসেনের (৩০) সঙ্গে তার স্ত্রীর বেশ কিছুদিন আগে ছাড়াছাড়ি হয়। তাদের ২টি ছেলে সন্তানের মধ্যে বড় ছেলে (৫) সবুজের কাছে এবং ছোট সন্তান (২) তার সাবেক স্ত্রীর কাছে থাকে। সবুজের স্ত্রী তার বড় ছেলেকেও তার কাছে নিয়ে আসার চেষ্টা করছিলেন। এ অবস্থায় একই গ্রামের জিল্লুর রহমানের ছেলে শামিম (২৫) অপপ্রচার চালান যে, টাকার বিনিময়ে পুলিশের সহায়তা নিয়ে আমরা ওই ছেলেকে সবুজের স্ত্রীর কাছে নিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করে দেব। শাহীন জানান, রোববার সকাল ১০টার দিকে শামিমকে এ অপপ্রচার কেন করছেন-তা জানার জন্য বাড়িতে ডেকে নিয়ে আসি। এ খবর পেয়ে আওয়ামী লীগ নেতা খাইরুলের (৩৫) নেতৃত্বে শতাধিক লোক অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে দুপুর আনুমানিক ১২টার দিকে তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা তাদের বাড়িতে এ সময় ব্যাপক ভাঙচুর ও গুলিবর্ষণ করে। হামলাকারীদের দমন করতে তার বাবা শাহাদত মাস্টার ৩ রাউন্ড গুলি ফাঁকা গুলি চালান বলে তিনি জানান।
শাহিন বলেন, তার ভাতিজা পারভেজসহ (২৫) কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। তিনি আরও অভিযোগ করেন, তাদের বাড়িতে যারা হামলা করেছে তাদের পক্ষ নিয়ে পুলিশ উল্টো তার বাবাসহ ৪ ভাইকে থানায় নিয়ে গেছে। এদিকে খাইরুল দাবি করেন, তাদের পক্ষের ১৮ জন গুলিবিদ্ধসহ বিভিন্নভাবে আহত হয়েছেন। হাসপাতালে যে ৬ জন ভর্তি রয়েছে তারা তাদের (খাইরুল গ্রুপের) লোকজন বলে তিনি দাবি করেন। আমিনপুর থানা পুলিশের ওসি মোজাম্মেল হক রোববার সন্ধ্যায় বলেন, পরিস্থিতি এখন শান্ত। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে এবং যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। সৌজন্যে : জাগোনিউজ২৪