ধর্ষক পুলিশ সদস্যকে আটকে রাখল ধর্ষিতা!
বার্তা ডেস্ক :: বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করে চলে যাওয়ার সময় ঝাপটে ধরে চিৎকার দেয় ধর্ষিতা মাদরাসা ছাত্রী (১৫)। পরে বাড়ির লোকজন ধর্ষককে আটক করে আটকে রাখে। এ ঘটনায় ধর্ষককে ছাড়িয়ে নিতে ধর্ষিতার বাড়িতেই হামলা চালালে দুই ইউপি সদস্যসহ আহত হন কমপক্ষে পাঁচজন। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যানের খবরে পুলিশ এসে অভিযুক্ত ধর্ষককে আটক করে নিয়ে যায়। গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের বৃ-দেবস্থান গ্রামে। এ ঘটনায় আজ বুধবার বিকেলে ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন। পরে আটককৃত পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আটক পুলিশ সদস্য মো. ইজাদুল হক ওরফে রতন (২১) উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত আজিজুল হকের ছেলে।
স্থানীয় সুত্র ও ধর্ষতারার পরিবারিক সূত্রে জানা যায়, রতনের সঙ্গে রঙ নম্বরে পার্শ্ববর্তী রাজিপুর ইউনিয়নের ওই ছাত্রীর সাথে পরিচয় হয়। পরে তাদের সম্পর্ক প্রেমে রূপ নেয়। গাজীপুরের মেট্রোপলিটন পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি করেন রতন। গত এক মাস ধরে তিনি বাড়িতে ছুটিতে আছেন। মঙ্গলবার রতন ছাত্রীর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলে সন্ধ্যার পর তার বাড়িতে যান। থানায় অবস্থান করা ছাত্রী জানায়, রাত ৮টার দিকে ঘরের পিছনে এসে পরদিনই বিয়ের কথা বলে তাকে বাহিরে নিয়ে আসে। এক পর্যায়ে তাকে ধর্ষণ করে চলে যেতে চায়। এ সময় বিয়ের কথা বললে ধর্ষক রতন তাকে বলে, ‘এখন বিয়ে করলে চাকরির সমস্যা হবে।’ এক বছর পরে বিয়ে করবে। এতে সে রতনকে ঝাপটে ধরে চিৎকার দেয়। পরে পরিবারের লোকজন এসে একটি ঘরে নিয়ে আটকে রাখে। ছাত্রীর বাবা জানায়, তাঁর ছেলেও একটি থানায় কনস্টেবল পদে চাকরি করেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ এলাকার বেশ কয়েকজনকে জানালে তাঁরা ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টাকালে ধর্ষণে অভিযুক্ত রতনের লোকজন উপস্থিত লোকজনের ওপর অর্তকিতে হামলা চালায়। এ সময় স্থানীয় ইউনি সদস্য সামছুল হক ও মো. ইস্রাফিল হোসেনসহ কমপক্ষে পাঁচজনকে আহত করে। খবর পেয়ে স্থানীয় রাজিবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোতাব্বিরুল ইসলাম এষে পুলিশে খবর দেয়। ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মো. মোখলেছুর রহমান জানান, নির্যাতনের শিকার মাদরাসা ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা করেছেন। ধর্ষিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বৃহস্পতিবার হাসপাতালে পাঠানো হবে।