জগন্নাথপুর:তরুণীর নগ্ন ছবি তুলে টাকা দাবি
জগন্নাথপুর :: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় এক তরুণীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে মুঠোফোনে নগ্ন ছবি তুলে পরিবারের কাছে বার বার টাকা দাবি করায় এক যুবককে গ্রেফতার করেছে থানাপুলিশ। অভিযুক্ত যুবককে গতকাল গ্রেফতার করে তার কাছ থেকে তরুণীর নগ্ন ছবি সংবলিত মুঠোফোন উদ্ধার করে আজ মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) সুনামগঞ্জ জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সৈয়দপুর শাহারপাড়া ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের এক ব্যক্তির মেয়ে (২১)-কে ২০১৫ সালে সৈয়দপুর পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে পড়ার সময় বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে ইসহাকপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের জিয়াউর রহমানের ছেলে সুয়েবুর রহমান মুন্না জোরপূর্বক অটোরিকশায় তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। তুলে নেয়ার প্রায় তিন ঘন্টা পর তাকে বাড়ির সামনে রেখে চলে যায়। ঘটনার এসময়ের কথা মেয়েটির মনে নেই।
ঘটনার এক সপ্তাহ পর সুয়েবুর রহমান মেয়েটির বড় বোনের মুঠোফোনে তরুণীর একটি নগ্ন ছবি পাঠায় এবং টাকা দাবি করে। মেয়েটির পরিবার লজ্জ্বা-শরমের ভয়ে সুয়েবকে ২০ হাজার টাকা দিয়ে ছটিটি মুঠোফোন থেকে ডিলিট করার জন্য বলেন। কিন্তু সুয়েব সেটি ডিলেট না করে ৫ বছর পর আবারো মেয়েটির বোনের মুঠোফোনে ফোন করে টাকা দাবি করে সুয়েবুর। এতে তরুণীর পরিবার রাজি না হওয়ায় ১০ সেপ্টেম্বর সিলেট থেকে অটোরিকশায় বাড়ি ফেরার পথে পরিবারের সাথে মেয়েটিকে দেখে ওই যুবক গালিগালাজ এবং প্রাণে মারা ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এ ঘটনার পর গতকাল ২০ সেপ্টেম্বর তরুণী বাদি হয়ে যুবকের বিরুদ্ধে পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে এবং গতকালই পুলিশ সুয়েবকে গ্রেফতার করে। জগন্নাথপুর থানার সাবইন্সপেক্টর রাজিব রহমান জানান, মেয়েটির অভিযোগের প্রেক্ষিতে বখাটে যুবককে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ এবং তরুণীর নগ্ন ছবি সংবলিত মুঠোফোনটি উদ্ধার করা হয়েছে।