ওসমানীতে নতুন টার্মিনালের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
সিলেট::প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেট ওসমানী আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দরের নতুন টার্মিনাল নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করেছেন। বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তিনি এ কাজের উদ্বোধন করেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে যখন সারা বিশ্বের অর্থনৈতিক অবস্থা স্থবির হয়ে পড়েছে সেখানে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কাজ এগিয়ে চলছে। প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের বিমান ঢাকা থেকে সরাসরি নিউইর্য়কসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যাবে। আমরা সে দিক বিবেচনা করে বিমানের উড়োজাহাজ সংগ্রহ করেছি। সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নতুন টার্মিনালের নির্মাণ কাজের ভার্চুয়াল এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সিলেট আসেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী এমপি ।
জানা যায়, সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল ভবন নির্মিত হলে নতুন টার্মিনাল ভবন দিয়ে বছরে ২০ লক্ষ যাত্রী চলাচল করতে পারবেন। আধুনিক স্থাপত্য শৈলী সম্বলিত কাঠামােগত ডিজাইন, অত্যাধুনিক সুযােগ সুবিধা ও স্থাপনাদি এবং দৃষ্টিন্দন উপকরণাদি ব্যবহারের মাধ্যমে নির্মিতব্য এ টার্মিনাল দেশী-বিদেশী যাত্রীগণকে মুগ্ধ করবে। ভবনের স্থাপত্য নকশা যৌথভাবে করেছেন কোরিয়ার স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ইয়োসিন ও হিরিম। যারা ইনছিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এর টার্মিনাল-২ সহ বিশ্বের বহু এয়ারপাের্টের প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবনের স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান নির্মান করেছে। আন্তর্জাতিক মানের যাত্রী সেবা প্রদানের জন্য ভবনে থাকবে ৬টি বাের্ডিং ব্রিজ (ডাবল ডকিং ২টি, সিঙ্গেল ডকিং ২টি ), কনভেয়ার বেল্টসহ ৩৬টি চেক-ইন-কাউন্টার যার মধ্যে ২টি স্বয়ংক্রিয়, বহিগামী ও আগমনী যাত্রীদের জন্য মােট ২৪টি পাসপাের্ট কন্ট্রোল কাউন্টার , ৬টি এসকেলেটর, ১টি লিফট এবং আগমনী যাত্রীদের জন্য ৩টি লাগেজ কনভেয়ার বেল্ট, ভবনের ফ্লোরে বসবে ইঞ্জিনিয়ারড স্টোন।
নতুন টার্মিনালের ১ম তলা আগমনী যাত্রীদের এবং ২য় তলা বহির্গামী যাত্রীদের জন্য ব্যবহৃত হবে। শহরের যেকোন প্রান্ত থেকে আগত যাত্রী টার্মিনালের চেক-ইন লেভেলে সরাসরি যেতে পারবেন। আবার বিদেশ হতে আগত যাত্রীগণ ১ম তলা থেকে বিমানবন্দর ত্যাগ করে সারফেস রােড ব্যবহার করে শহরের যেকোন প্রান্তে যেতে পারবেন । টার্মিনাল অভিমুখী বা বহির্মুখী সকল যানবাহন চলাচল হবে একমুখী যা বিমানবন্দর অংশকে সম্পূর্ণ যানজটমুক্ত রাখবে। নতুন টার্মিনাল ভবনের সাথে আরও যে সকল অবকাঠামাে নির্মাণ করা হচ্ছে তা হলাে অত্যাধুনিক সুবিধা সম্বলিত কার্গো টার্মিনাল, ফায়ার স্টেশন, কন্ট্রোল টাওয়ার, প্রশাসনিক ভবন, রক্ষনাবেক্ষণ ভবন, ৬টি উড়ােজাহাজ পার্কিং উপযােগী এপ্রােন, টেক্সিওয়ে, বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্র সহ ফুয়েল ডিষ্টিবিউশান এন্ড হাইড্রেন্ট সিস্টেম সহ আরও অনেক সুবিধা সন্নিবেশিত থাকবে এই নতুন টার্মিনালে। নতুন টার্মিনাল ভবনের কাজ শেষ হলে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশ তথা সিলেটের ভাবমুর্তি আরও উজ্জ্বল হবে এবং ভবিষ্যতে আরও অনেক দেশের বিমান সংস্থা এ বিমানবন্দর দিয়ে চলাচলের সুযােগ সৃষ্টি হবে। ফলে দেশের রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে এবং আকাশ পথে যাত্রীদের বিশ্বমানের সুযােগ সুবিধা ও নিরাপত্তা বাস্তবায়নের সুবিধা হবে। উল্লেখ্য; দরপত্র আহবানের মাধ্যমে এবং সরকারের অনুমােদনক্রমে বিগত ২৪ মার্চ বেইনজিন আরবান কন্সট্রাক্শন গ্রুপ কো. লিমিটেডকে কার্যাদেশ প্রদান করা।