ইরানের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফখরিজাদাহ
ইরানের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফখরিজাদাহ রাজধানী তেহরানের কাছে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) তেহরানের দামাবন্দ এলাকায় তার ওপর হামলা চালানো হয়। এ ঘটনার প্রতিশোধ নেওয়ার শপথও নিয়েছে ইরান। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনীর সামরিক উপদেষ্টা হোসেইন দেহাগান বলেছেন, ‘সন্ত্রাসীদের ওপর বজ্রপাতের মতো আঘাত হানা হবে।’ কিন্তু কে এই পরমাণু বিজ্ঞানী এবং তাকে হত্যার কারণই বা কী! মার্কিন সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো মনে করে, মোহসেন ফখরিজাদাহ ইরানের গুপ্ত পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির পেছনে রয়েছেন।’ আন্তর্জাতিক কূটনীতিকরা তাকে ‘ইরানি বোমার জনক’ হিসেবে অভিহিত করতেন।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ শুক্রবার টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘সন্ত্রাসীরা ইরানের একজন প্রখ্যাত বিজ্ঞানীকে হত্যা করেছে।’ তাকে হত্যার ঘটনায় প্রতিশোধ নিতে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘মোহসেন ফখরিজাদাহ ইরানের সবচেয়ে বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গবেষণা ও উদ্ভাবনী সংস্থার প্রধান। তিনি ইরানের রেভরল্যুশনারি গার্ডের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও ছিলেন। তাকে কূটনীতিকরা ‘ইরানে বোমার জনক’ বলে বর্ণনা করতেন।
ইসরায়েল এবং পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে তিনি ইরানের খুবই ক্ষমতাশালী ব্যক্তি এবং ইরানের পরমাণু কর্মসূচির প্রধান স্তম্ভ।২০১৮ সালে ইসরায়েল বলেছিল তাদের হাতে যেসব গোপন নথিপত্র এসেছে সেগুলো অনুয়ায়ী ইরানের পরমাণু কর্মসূচির তিনি প্রধান রূপকার। ফখরিজাদাহর নেতৃত্বেই ইরানের পরমাণু কর্মসূচি গড়ে উঠেছে। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ওই সময় বলেছিলেন, ‘ওই নামটা মনে রাখবেন’। তিনি বলেছিলেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচির তিনিই প্রধান বিজ্ঞানী। ২০১৫ সালে নিউ ইয়র্ক টাইমস তার তুলনা করেছিল জে রবার্ট ওপেনহেইমারের সাথে। ওপেনহেইমার দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় ম্যানহাটন প্রকল্পের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন যে প্রকল্পের অধীনে প্রথম আণবিক বোমা তৈরি করা হয়।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
৪৯ বার