স্ত্রী-সন্তান রেখে শ্যালিকাকে নিয়ে উধাও যুবক
বার্তা ডেস্ক :: কুমিল্লার লাকসামে স্ত্রী-সন্তান রেখে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া ১২ বছরের শ্যালিকাকে নিয়ে উধাও হয়েছে দুলাভাই। এতে ৭ মাসের ছেলেশিশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বড় বোন। এ ঘটনায় শ্বশুর খোরশেদ আলম বাদী হয়ে জামাইয়ের বিরুদ্ধে গত ৫ ডিসেম্বর লাকসাম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। লাকসাম পৌরসভার কাদ্রা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। থানায় অভিযোগ হওয়ার পর গত কয়েক দিন ধরে এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভার কাদ্রা গ্রামের এক মেয়েকে দুই বছর আগে বিয়ে করেন একই গ্রামের আবুল কাশেম মোল্লার ছেলে তোফাজ্জল হোসেন মন্টু (২৩)। তাদের সংসারে সাত মাস বয়সী একটি ছেলেসন্তান রয়েছে। এর মধ্যে ১২ বছরের শ্যালিকাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে মন্টু। গত ৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় পার্শ্ববর্তী এলাইচ গ্রামের নানার বাড়িতে থাকাবস্থায় মন্টু শ্যালিকাকে ফুসলিয়ে নিয়ে অজানার উদ্দেশে পাড়ি দেয়। এদিকে মেয়েকে না পেয়ে জামাই মন্টুকে আসামি করে লাকসাম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন শ্বশুর।
অপর সূত্রে জানা যায়, শ্যালিকাকে বিয়ে করেছে তোফাজ্জল হোসেন মন্টু। একসঙ্গে দুই বোনকে বিয়ের ঘটনায় এলাকায় সমালোচনা চলছে। এলাকার কতিপয় লোক এ ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন। এ ঘটনায় তোফাজ্জল হোসেন মন্টুর মা সেতারা বেগম জানান, মেয়েটা খুব সেয়ানা। সে আমার ছেলেকে বশে নিয়ে বিয়ে করেছে। মন্টুর পিতা আবুল কাশেম মোল্লা বলেন, এটা কোনো ঘটনাই না। এ বিষয়টা গ্রামের সরদার-মাতবররা মীমাংসা করবেন। মামলার বাদী জানান, আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। এদিকে ওই যুবকের স্ত্রী বলেন, ৭ মাসের শিশুসন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি চিন্তিত। আমি আমার স্বামীকে চাই। এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লাকসাম থানার এসআই মনোজ কান্তি কুরি জানান, মেয়েটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। লাকসাম থানার ওসি মো. নিজাম উদ্দিন জানান, অভিযোগ তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।-যুগান্তর