আগুনে পুড়া শরীর নিয়ে বিছনায় কাতরাচ্ছে নীপা
দোয়ারাবাজার:: দোয়ারাবাজারে মজলুফা বেগম নীপা (১২) নামের এক স্কুল ছাত্রী আগুনে পোড়া শরির নিয়ে এক সপ্তাহ ধরে বিছানায় কাতরাচ্ছে। দরিদ্র পরিবারটি টাকার অভাবে তাকে ভর্তি করাতে পারছেন না ভালো কোনা হাসপাতালে। দিতে পারছেন না উন্নত চিকিৎসা। চোখের সামনে এমন যন্ত্রনা দেখতে হচ্ছে দরিদ্র পরিবারটিকে। নীপার চিকিৎসার জন্য সমাজের সকল শ্রেণী পেশার মানুষের কাছে সাহায্য চেয়েছে তার পরিবার।
জানা যায়, দোয়ারাবাজার উপজেলার পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের শ্রীপুর-আফছরনগর গ্রামের কৃষক ইউসুফ আলীর মেয়ে মজলুফা বেগম নীপা। সে স্থানীয় শ্রীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী। জানুয়ারীতে ৬ষ্ট শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে লেখা-পড়া করার আগ্রহ ছিল তার। কিন্তু গত ১৪ ডিসেম্বর রাতে রান্না করতে গিয়ে অসাবধানতাবশত আগুন তার পড়নের ওড়নায় লেগে যায়। এক পর্যায়ে জামা-কাপড়ে আগুন লেগে তার শরীরের পিঠের পুরো অংশ ঝলসে গেছে।
এরপর থেকে তার চিকিৎসা চলছে দোয়ারার বাজিতপুর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার ডাক্তার এসএম শফিকুল ইসলামের কাছ। চিকিৎসকরা বলছেন, মেয়েটি ভাল হয়ে উঠবে। চিকিৎসকের এমন আশ্বাসে দরিদ্র পরিবারটি এক সপ্তাহ ধরে তার মাধ্যমেই নীপার চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দোয়ারাবাজার উপজেলার বাজিতপুর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার ডা. এসএম শফিকুল ইসলাম বলেন, মেয়েটিকে তিনি প্রথম থেকেই বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। চিকিৎসায় সে এখন উন্নতির পথে। তবে উন্নত চিকিৎসা সম্ভব হলে মেয়েটি দ্রুত সুস্থ্য হয়ে উঠতে পারত।
নীপার মা নাজমা বেগম জানান, চিকিৎসায় মেয়েটি আগ থেকে কিছু উন্নতির দিকে। তবে অর্থের অভাবে তাকে উন্নত চিকিৎসা সেবা দিতে পারছেন না। মেয়ের চিকিৎসায় এগিয়ে আসতে সমাজের সকল শ্রেনী পেশার মানুষের কাছে সাহায্য কামনা করছেন তার পরিবার। (০১৭১৪-৭৫৫৯০৫) মোবাইল (পার্সোনাল) বিকাশ নম্বরে নীপাকে মানবিক সাহায্য পাঠাতে সমাজের সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে আহবান জানিয়েছেন দরিদ্র পরিবার।