বার্তা ডেক্সঃঃ ছাতক পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ-বিএনপির ভোট লড়াই এখন উৎসবে পরিনত হয়েছে। পৌরসভার সর্বত্রই বইছে নির্বাচনী উত্তাপ। সময় যতই ঘনিয়ে আসছে প্রার্থীরাও বিজয়ের লক্ষ্যে পরিবর্তন করছেন তাদের প্রচারনার কৌশল। আগামী ১৬ জানুয়ারী শনিবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে ছাতক পৌরসভা নির্বাচন। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান মেয়র আবুল কালাম চৌধুরী ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাশিদা আহমদ ন্যান্সির মধ্যে একটি জমজমাট ভোটের লড়াই প্রত্যাশা করছেন পৌরবাসী। আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল কালাম চৌধুরী ও তার কর্মী-সমর্থকরা মেয়র পদ ধরে রাখতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। বিগত ১৫ বছরে পৌরসভার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল কালাম চৌধুরী জানান, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ জুড়ে চলছে উন্নয়নের মহোৎসব। তার প্রানপ্রিয় ছাতক পৌরসভায়ও উন্নয়ন চলমান রয়েছে। চলমান কাজ ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে ছাতক পৌরসভা একটি আধুনিক মডেল পৌরসভা হিসেবে রূপ নেবে। তার অসমাপ্ত ও পরিকল্পিত উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়নে এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী ১৬ জানুয়ারী নৌকায় প্রতীকে ভোট প্রদানের জন্য ভোটারদের প্রতি আহবান জানান তিনি।
অপরদিকে দলীয় মতবিরোধ না থাকায় অনেকটা সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন বিএনপির প্রার্থী রাশিদা আহমদ ন্যান্সি। বিগত পৌর নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীদের পরাজয়ের মুল কারন হিসেবে দলীয় কোন্দলকেই দায়ী করছেন নেতা-কর্মীরা। বর্তমানে দলের উভয় বলয়ের সিনিয়র নেতা-কর্মীদের মতামতের ভিত্তিতেই রাশিদা আহমদ ন্যান্সিকে প্রার্থী হিসেবে চুড়ান্ত করে বিএনপি। যে কারনে আগামী ১৬ জানুয়ারী পৌর নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী রাশিদা আহমদ ন্যান্সির বিজয়ের সম্ভাবনা দেখছেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। বিজয়কে নিশ্চিত করতে বিএনপির উভয় বলয়ের নেতা-কর্মীরা ভোটের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।
ইতিমধ্যেই ন্যান্সির পক্ষে প্রচারনায় মাঠে রয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রিয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি, সাবেক এমপি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানসহ জেলা-উপজেলার বিএনপি নেতৃবৃন্দ। নির্বাচনে নিজের বিজয়ের ব্যাপারে বিএনপি প্রার্থী রাশিদা আহমদ ন্যান্সি জানান, জনবান্ধব মেয়র হতে তিনি প্রার্থী হয়েছেন। পৌরবাসীর মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নে ধানের শীষে ভোট প্রার্থনা করেন। ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্টিত হওয়া এ পৌরসভায় প্রতিষ্ঠাকালিন নির্বাচনে পৌর চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ্ব আব্দুল ওয়াহিদ মজনু। পরবর্তি ২০০৫, ২০১১ এবং ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত পৌর নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী আবুল কালাম চৌধুরী টানা তিন বার বিজয় লাভ করেন। এ পৌরসভায় সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৫ সালে ৩০ ডিসেম্বর। ১৬ জানুয়ারীর নির্বাচনে পৌরসভার ১৯টি কেন্দ্রে ৩০ হাজার ২৮০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। মোট ভোটারদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৫ হাজার ২৭১ জন এবং নারী বোটার ১৫ হাজার ৯জন।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
৮০ বার