বার্তা ডেক্সঃঃজেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেছেন, আমাদের সবাইকে দায়িত্ববোধ নিয়ে কাজ করতে হবে। হতদরিদ্র্য মানুষদের অগ্রাধিকার দিয়ে প্রকল্প নিতে হবে। তিনি আরও বলেন, হাওরপাড়ের নারীরা শিক্ষা ও সচেতনতার দিক থেকে পিছিয়ে রয়েছেন। তাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি সুনামগঞ্জ জেলাকে বাল্যবিবাহ মুক্ত করতে হবে। বাল্যবিবাহ মুক্ত হলে নারীরাও এগিয়ে যাবেন। যারা ইউনিয়ন পরিষদে কর্মরত আছেন, আপনারা নিজেরা নিজেদের দায়িত্ববোধ থেকে প্রতিটি এলাকায় বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে কাজ করবেন, জনসাধারণকে সচেতন করবেন। গ্রামের নারীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে পাড়ায় পাড়ায় নারীদেরকে নিয়ে সভা-সমাবেশ করবেন। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।

বুধবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সুনামগঞ্জ স্থানীয় সরকার বিভাগের ইএএলজি প্রকল্পের বার্ষিক অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কথাগুলো বলেন জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মোহাম্মদ শরীফুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও ইএএলজি প্রকল্পের জেলা ফ্যাসিলিটেটর সৈয়দ নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেবুন নাহার শাম্মী, ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক নুর হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দোলন রানী তালুকদার, জাউয়াবাজার ইউপি চেয়ারম্যান মুরাদ হোসেন, ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান রনজিৎ চৌধুরী রাজন, জগদল ইউপি চেয়ারম্যান শিবরী আহমেদ বেগ, ইএএলজি প্রকল্পের জেলা কো-অর্ডিনেটর মিঠু রঞ্জন দাস প্রমুখ।

জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন আরও বলেন, ইএএলজি প্রকল্পের মাধ্যমে জেলার পিছিয়ে পড়া মানুষের অগ্রাধিকার দিয়ে প্রকল্প নিয়ে বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। তাদেরকে বাদ দিয়ে এলাকার উন্নয়ন করা সম্ভব হবে না। কাজেই নারী উন্নয়ন ফোরামের মাধ্যমে নারীদেরকে এসব কাজে স¤পৃক্ত করতে হবে। তাদের সাথে কথা বলে তাদের মতামত জানতে হবে। তখন তাদের মতামতের ভিত্তিতে কাজ করলে এলাকার মানুষ উপকৃত হবে। সভায় গণমাধ্যমকর্মীসহ জেলার ৮৭ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, ইউপি সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn