চলতি বছরের শুরুতে ফেসবুক এক ব্লগপোস্টে উল্লেখ করেছিল, ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর এ দু’ মাসের মধ্যে তারা ১৩০ কোটি ভুয়া অ্যাকাউন্ট সরিয়েছে। মূলত ফেসবুকে ভুয়া-অসত্য তথ্য ছড়ানো রুখতে ও ইউজারের ওয়াল বিভ্রান্তিকর পোস্টমুক্ত রাখতেই তাদের নিয়মিত এ কার্যক্রম। ফেসবুকের বিভিন্ন সময়ের বিবৃতিতে জানা যায়, তারা ফেসবুককে আরও সক্রিয় ও ভুয়া তথ্যমুক্ত করতে একের পর এক পদ্ধতি অবলম্বন করে। আনে পরিবর্তনও। এরই অংশ হিসেবে এবার জানানো হয়েছে, ফেসবুকে বিভ্রান্তিকর তথ্য বার বার ছড়ালে ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে নেয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা । সম্প্রতি এক ব্লগপোস্টে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি এমন তথ্য জানিয়েছে।
শেয়ার করা তথ্য যাচাইয়ের জন্য ফেসবুক সাধারণত সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভর করে। এ সহযোগী প্রতিষ্ঠানের চিহ্নিত করা কোনো বিভ্রান্তিকর তথ্য কেউ ফেসবুকে শেয়ার করলে তার নিউজফিডের কার্যকারিতা কমে পাবে। ফলে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর দায়ে ব্যবহারকারীর পরবর্তী পোস্ট অন্য কারও ওয়ালে যাবে না। আর গেলেও তা একেবারেই নগণ্য আকারে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ফ্যাক্ট চেকিং সহযোগী প্রতিষ্ঠানের কাছে কোনো কনটেন্ট বিভ্রান্তিকর মনে হলে সেটি ব্যবহারকারীদের জানিয়ে দেয়া হবে। সম্প্রতি এ নিয়ে কাজ শুরু করেছে ফেসবুক। বিভ্রান্তিকর তথ্যের ব্যাপারে ব্যবহারকারীদের সতর্ক করে দেয়ার জন্য তারা বিশেষ ‘নোটিফিকেশনের’ কাজ শুরু করেছে বলেও জানিয়েছে এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
১৬২ বার