সুনামগঞ্জের ছাতকে ভুয়া ডাক্তার দিয়ে খৎনা করিয়ে দুই শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। খৎনাস্থান অস্বাভাবিকভাবে ফুলে গিয়ে প্রস্রাব বন্ধ হয়ে পড়লে রোববার (২৯ আগস্ট) সকালে তাদেরকে আশংকাজনক অবস্থায় কৈতক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে কৈতক হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. সাইদুর রহমানের পরামর্শে দুজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার সিংচাপইড় ইউনিয়নের সাতগাঁও গ্রামের অটো রিক্সাচালক জাহাঙ্গির আলমের দু’শিশু পুত্র হাসান মিয়া(৮) ও আবু সুফিয়ান(৬)কে খৎনা করানোর জন্য (২৩-আগষ্ট) ছাতকের কৈতক ২০শয্যা হাসপাতালে নিয়ে আসেন তাদের মা তাহেরুন্নেছা। এসময় হাসপাতালের ইমার্জেন্সি কক্ষের সামনে থাকা আব্দুর রহমান নামক এক ব্যক্তি নিজেকে ডাক্তার পরিচয়ে এসব খৎনা তিনিই করে থাকেন বলে তাহেরুন্নেছাকে জানান। এসময় শিশুদের নিয়ে স্থানীয় কামারগাঁও বাজারে তার চেম্বারে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেয় আব্দুর রহমান। (২৪-আগষ্ট) দু’শিশুকে নিয়ে কামারগাঁও বাজারে এক ফার্মেসির কথিত চেম্বারে যান মা তাহেরুন্নেছা। সেখানে আব্দুর রহমান শিশুদের খৎনা করিয়ে তার বিনিময়ে শিশুদের মা তাহেরুন্নেছার কাছ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা ফিস হিসেবে হাতিয়ে নেয়।ঘটনার পরের দিন থেকেই খৎনা স্থানে প্রচন্ড ব্যথা অনুভবসহ জ্বালা-যন্ত্রনা শুরু হয়। এক পর্যায়ে খৎনাস্থান ফুলে প্রস্রাব বন্ধ হয়ে পড়ে।
অবশেষে রোববার কৈতক হাসপাতালে নিয়ে আসলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন কর্তব্যরত ডাক্তার। স্থানীয়রা জানান, ডাক্তার বা কোন ধরনের নিয়োগ ছাড়াই হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে অবস্থান করে রোগীদের সাথে এ ধরনের প্রতারনা করে আসছে আব্দুর রহমান। এ ব্যাপারে আব্দুর রহমান জানান, অভিজ্ঞতা থেকেই সে এ কাজ করেছেন তিনি। ওষুধ খেলেই শিশুদের সমস্যা সেরে যাবে। কৈতক ২০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ সাইদুর রহমান জানান, এঘটনাটি হাসপাতালে ঘটেনি। বর্তমানে রোগীর অবস্থা ভালো নয়। যে কারণে তিনি তাদের সিলেটে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
১৩১ বার