জানা যায়, দোয়ারাবাজার উপজেলার পান্ডারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য ও শ্রীপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি, মেরিট কেয়ার একাডেমির প্রিন্সিপাল জামাত নেতা সফিকুল ইসলাম একই ইউনিয়নের এক দিনমজুরের স্ত্রীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়ার সম্পর্কে লিপ্ত আছেন। সম্প্রতি ঘটনাটি জানাজানি হলে নিরীহ স্বামী তার স্ত্রীকে ইউপি সদস্যের সাথে মোবাইলে কথাবার্তা বলতে নিষেধ করেন। কিন্তু ইউপি সদস্য মোবাইলে ওই মহিলার সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রাখেন। অতিসম্প্রতি মহিলার মোবাইলে ইউপি সদস্যের আপত্তিকর কল রেকর্ড পাওয়া গেলে প্রতিকার চেয়ে আদালতের দারস্থ হন নিরীহ দিনমজুর স্বামী। এদিকে ওই রেকর্ড ফাঁস হয়ে গেলে স্ত্রী এখন স্বামীর বাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়িতে অবস্থান করেছেন।
এ ব্যাপারে ওই মহিলার স্বামী জানান, ‘আমি কাজের সুবাদে বাড়ি ছেড়ে দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় অবস্থান করছিলাম। এই সুযোগে ইউপি সদস্য সফিকুল ইসলাম বিভিন্ন ভাবে আমার স্ত্রীকে ভিজিডি, ভিজিএফ সহায়তা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্তহন। আমি এর সুবিচার চেয়ে আদালতের দারস্থ হওয়ায় ইউপি সদস্য আমাকে নানাভাবে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখায়। এমনকি আমার স্ত্রীকে সে নিয়ে যাবারও হুমকি প্রদান করে আসছে। আমি আমার তিন সন্তানের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে নিরাপত্তা চেয়ে লিখিতভাবে দোয়ারাবাজার থানা পুলিশকে অবহিত করেছি। এ বিষয়ে জানতে ইউপি সদস্য সফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কল রেকর্ডটি আমার এটা আমি অস্বীকার করি না, এটা আমারই রেকর্ড। আমাকে ফাঁসাতে আমার প্রতিপক্ষরা এসব প্রচার করে বেড়াচ্ছে। চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ দীর্ঘদিন ধরে আমার বিপক্ষে কাজ করছেন। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।
বিষয়টি যেহেতু বড় আপোষ মিমাংসা করতে একটু সময় লাগবে, তবে আপোষের চেষ্টা চলছে। দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেবদুলাল ধর বলেন, ইউপি সদস্যেও পরকীয়ার মামলাটি খতিয়ে দেখে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঐ মহিলার সাথে কল রেকর্ডটি আমি শুনেছি। মামলাটি এখন তদন্তাধীন রয়েছে।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
১৬০ বার