প্রবীণ রাজনীতিবিদ প্রণব মুখার্জি রাষ্ট্রপতি ভবন ছাড়লেও বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা এ কে আদভানীর কপাল খুলছে না। সম্প্রতি দিল্লীতে বিভিন্ন মহলের সঙ্গে আলাপকালে এ আভাস পাওয়া গেছে। বাবরি মসজিদ ভাঙা নিয়ে মামলায় নতুন বিতর্কে রয়েছেন সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী, এককালের কট্টরপন্থী বিজেপি নেতা আদভানী। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বিগত লোকসভার নির্বাচনের আগে থেকেই গুজরাট থেকে উঠে আসা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাকে কোণঠাসাই নয় রীতিমতো একঘরে করে ফেলেছিলেন।

আগামী ২৫ জুলাই কংগ্রেসের প্রবীণ রাজনীতিবিদ প্রণব মুখার্জি রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব থেকে ৫ বছরের মেয়াদ শেষে বিদায় নিচ্ছেন। বিজেপির প্রবীণ নেতা এল কে আদভানী তার উত্তরাধিকার হয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে আসছেন? এমন একটি আলোচনা কিছুদিন আগেও দিল্লীর রাজনৈতিক অঙ্গনে ছিল। অনেকেই বলছেন, আদভানী যে হচ্ছেন না, সেটি প্রায় নিশ্চিত। বাবরি মসজিদ ভাঙার মামলাটিও পুনরুজ্জীবিত হওয়ার পিছনে আদভানীর রাষ্ট্রপতি ভবনে আসন গ্রহণের শেষ সুযোগটি ঠেকিয়ে দেয়ার প্রক্রিয়া বলেও অনেকে মনে করছেন।

আগামী ২৫ জুলাই ভারতের নতুন রাষ্ট্রপতি কে হচ্ছেন? এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে তুমুল আলোচনার ঝড় বইছে। চলছে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা। আলোচনায় যাদের নাম উঠে আসছে তাদের অন্যতম হলেন বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ, ধ্রুপদী মার্মা যিনি ঝাড়খন্ডের গভর্নর এবং উড়িষ্যার দলিত বিজেপি নেতা। লোকসভার স্পিকার সুমিত্র মহাজনের নামও আছে আলোচনায়। তিনি আর এস এসেরও ঘনিষ্ঠজন। এমনকি গুজরাটের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী আনন্দীবেন প্যাটেলের নামও আলোচিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যেখানে গুজরাটের সেখানে ভারতের রাষ্ট্রপতিও কি গুজরাটের হবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে অনেকে বলেছেন, বিজেপির সভাপতিও যদি গুজরাটের হতে পারেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধিকাংশ কর্মকর্তা যদি গুজরাটের হতে পারেন সেখানে রাষ্ট্রপতি হওয়া কোন বিষয়ই নয়। কারণ জনমত, রাজনৈতিক কতৃর্ত দুটোই এখনো নরেন্দ্র মোদির অনুকূলে। তিনি যাকে চাইবেন, রাষ্ট্রপতি ভবনে তিনিই আসবেন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn