ব্রিটেনে ২০১৬ সালে ১২৩ নারীর খৎনা
ব্রিটেনে নারীদের খৎনার ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। মিডিয়ার কল্যাণে দু’একটি ঘটনা জানা যায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তা থেকে যায় লোকচক্ষুর আড়ালে। শনিবার এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ব্রিটেনে নারীদের খৎনা নিষিদ্ধ হলেও অনেককে বিদেশে নিয়ে এটা করানো হচ্ছে। ব্রিটেনের ওয়েলসে গত বছর ১২৩ নারীর খৎনার ঘটনা ধরা পড়েছে। ওয়েলসের হাসপাতালগুলোয় কর্মরত ধাত্রী ও চিকিৎসকরা বলেছেন, তারা ২০১৬ সালে গড়ে প্রতি তিন দিনে একটি করে নারীর খৎনার ঘটনা আবিষ্কার করেছেন। বিবিসির পাওয়া তথ্যে বলা হচ্ছে, ২০১৬ সালে ঘটনা পাওয়া গেছে ১২৩টি, আর আরো অন্তত ৪৪টি ১৮ বছরের কমবয়স্ক তরুণীকে চিহ্নিত করা হয়েছে – যাদের খৎনা করানো হতে পারে এমন ঝুঁকি রয়েছে।
ওয়েলসের নারীদের নিয়ে কাজ করে এমন একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান বলেছে, আসলে যা হচ্ছে এটি তার খুব সামান্য একটি অংশ। তারা বলছেন, ওয়েলসে অন্তত ২ হাজার নারী রয়েছেন যাদের খৎনা করানো হয়েছে। যুক্তরাজ্যে কিছু জনগোষ্ঠীর মধ্যে সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় কারণে নারীদের খৎনার প্রচলন রয়েছে। যদিও ১৯৮৫ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে এটা অবৈধ ঘোঘণা করা হয়েছে। কিন্তু এখনো এ ব্যাপারে কারো বিচার করা যায়নি। ওয়েলসের সোয়ানসির বাসিন্দা একজন শরণার্থী বর্ণনা করেছেন কীভাবে তার বোনকে কয়েক বছর আগে নাইজেরিয়ায় খৎনা করানো হয়েছিল। তিনি বলেন, তার নিজের খৎনা করানো হয়েছিল যখন তার বয়স মাত্র কয়েক দিন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই নারী বলছেন, তিনি এখন তার নিজের দুই মেয়েকে এর হাত থেকে রক্ষা করতে চান। ব্রিটেনে এর বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীরা স্কুল শিক্ষকদের সতর্ক করে দিচ্ছেন, যেন অল্পবয়স্ক মেয়েদের গ্রীষ্মের লম্বা ছুটির সময় বিদেশে নিয়ে গিয়ে খৎনা করানো ঠেকাতে তারা ভূমিকা রাখেন। পৃথিবীতে বিভিন্ন দেশে অন্তত ২০ কোটি নারী এ প্রথার শিকার হয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও কয়েকদিন আগে প্রথমবারের মতো মিশিগানের ডেট্রয়েটে ডা. ফখরুদ্দিন এবং ফরিদা আত্তার নামে দু’জনকে নারীদের খৎনা করানোর চেষ্টার দায়ে গ্রেফতার করা হয়।
এনডিএস