(ফাইল ফটো)
আদালতে সাজাপ্রাপ্ত কোনো আসামি নির্বাচন করতে পারবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।গণভবনে সোমবার কাতার সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। দুর্নীতির দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বক্তব্যের এক দিন পর সরকারপ্রধান সাজাপ্রাপ্ত আসামির প্রার্থিতা নিয়ে কথা বলেন।বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছায়া সরকারের উদাহারণ দিয়ে এক সাংবাদিক বাংলাদেশে এমন সরকার না থাকার কারণ জানতে চান।
জবাবে বিএনপির দিকে ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘ছায়া সরকার কে করবে? যে দল বেশি লাফায় সে দলের দুই নেতাই হচ্ছে সাজাপ্রাপ্ত আসামি। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা না পারবে ইলেকশন করতে, না পারবে ক্ষমতায় আসতে।‘বিএনপি তো তার নিজের গঠনতন্ত্র নিজে ভঙ্গ করছে। তাদের গঠনতন্ত্রে আছে যে, সাজাপ্রাপ্ত আসামি দলের নেতা হতে পারে না, কিন্তু তারা সেই সাজাপ্রাপ্ত আসামিকেই দলের নেতা বানিয়ে রেখে দিয়েছে। এখন সেই দলের কাছে কী আশা করবেন?’
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারকে নিয়ে জনগণের প্রত্যাশার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সাধারণ মানুষ, গ্রামের মানুষ, তাদের একটাই কথা; এই সরকারেরই ক্ষমতায় থাকা উচিত। এটা সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষা। নির্বাচনে ভোট দেয়া জনগণের ইচ্ছা। তারা ভোট দিলে আছি, না দিলে নাই।’ জনগণ ভোট না দিলে আফসোস নেই বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।তিনি বলেন, ‘২০০৮-এর অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট পেয়েছিল মাত্র ৩০ আসন, যেখানে মহাজোট পেয়েছিল ২৭০ আসন। সেই নির্বাচনেই যখন তাদের এত দুরাবস্থা। আর বিগত কয়েক বছরে কাজ করে আমরা মানুষের ভেতরে আস্থা অর্জন করতে পেরেছি।
‘আজ বগুড়ায় খবর নিলাম, অন্য দলের একজন সংসদ সদস্যের কাছে থেকে। তিনি জানালেন, সাধারণ মানুষ, গ্রামের মানুষ, তাদের একটাই কথা, এই সরকারেরই ক্ষমতায় থাকা উচিত। গ্রামেগঞ্জে সরকারের প্রতি একটা আস্থার সৃষ্টি হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘কারাগারে থাকা অবস্থায় রূপকল্প ২০২১ লিখেছি। পরে ২০০৮-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে সেটা সংযোজন করা হয়।’
কারাগারে থাকতেও দেশের জন্য কাজ করেছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সেটা বরং কাজের একটা ভালো সুযোগ ছিল। নিরিবিলি বসে বসে লেখার সুযোগ ছিল। মাঝে মাঝে রাজনীতিবিদরা কারাগারে থাকলে পরে লেখার সুযোগ হয়।’
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
৮৬ বার