তাহিরপুরে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক পরিবারের মাঝে সঠিক ভাবে পৌছায়নি ত্রান সামগ্রী
তাহিরপুর উপজেলায় এখনও ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক পরিবার গুলোতে পৌছায় নি কোন প্রকার ত্রানসামগ্রী। এগিয়ে আসে নি অসহায় এই হাওর পাড়ের মানুষ গুলোর পাশে সরকারী ও বেসরকারী এনজিও প্রতিষ্টা। একে একে সব হাওর ডুবে যাওয়ায় হাজার হাজার কৃষকরা এখন দিশেহারা হয়ে পরেছে। জীবন বাচাঁর একমাত্র হাতিয়ার বোরো ধান হারিয়ে হাওর বেষ্টিত উপজেলার দক্ষিন শ্রীপুর,তাহিরপুর সদর,দক্ষিন বড়দল,উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের হাজার হাজার কৃষক পরিবার গুলোতে হাহাকার বিরাজ করছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ঘরে এখন নেই খাবার ও বিশুদ্ধ পানি। হাওরের চারপাশে এখন পানিতে থৈ থৈ করছে। হাওর পাড়ের বেশির ভাগ পরিবারেই এখন নেই নগত টাকা ও চাল। আবহাওয়া দূর্যোগপূর্ন থাকায় হাওর পাড়ের ঐসব কৃষক পরিবার গুলো উপজেলা সদরে ও নির্দিষ্ট বাজারে যেতেও পারছে না। আর যে সব কৃষক পরিবারের কাছে নগত টাকা আছে তাই কেবল বাজারে যাচ্ছে দূর্যোগপুর্ন আবহাওয়া অতিক্রম করে। জানাযায়,উপজেলার ছোট বড় ২৩টি হাওর হাওরের কাচাঁ,আধা পাকা বোরো ধান একবারেই পানিতে তলিয়ে গেছে। সব মিলিয়ে ক্ষয় ক্ষতির পরিমান ২০হাজার হেক্টরের অধিক। সর্ব শেষ শনির হাওর ডুবে যাওয়ায় হাওর পাড়ে সর্বতই এখন বুকভরা দ্বীর্ঘশ্বাস,আতর্œনাধ আর আহাজারিতে আকাশ বাতাশ কম্পিত হচ্ছে। হাওর ডুবির পরেও সরকারী ভাবে কোন সহায়তা না পাওয়ায় হাওর পাড়ের কৃষক পরিবার গুলো মাঝে ক্ষুবের সঞ্চার হচ্ছে। তাহিরপুর উপজেলা সদরেই সরকারী ভাবে ডিলারদের মাধ্যমে দেওয়া ওএমএস চাল তাও সংকুলান হচ্ছে ভোক্তভোগীদের। সারাদিন লাইনে দাড়িয়ে থেকেও পাচ্ছে না দূর-দূরাতœ থেকে আসা অনেকেই। উপজেলা সদরে ৩জন ডিলার দিয়ে প্রতিদিন ১টন করে তিন জন ডিলার ৩টন চাল দেওয়া হয় তা চাহিদার তুলনায় খুবেই কম। সারা দিন অপক্ষো করে অনেকেই খালি হাতে বাড়ি ফিরছে। এই ওএমএসের চাল প্রতিটি ইউনিয়নে ইউনিয়নের ডিলারদের মাধ্যমে দিলে কিছুটা হলেও রক্ষা পেত হাওর বাসী। এদিকে তাহিরপুর উপজেলা বাজার সহ প্রতিটি বাজারেই চালের দোকান গুলোতে চাল নেই। অনেকেই কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বেশি নিয়ে বিক্রি করছে। অন্যদিকে উপজেলায় উপজেলা পরিষদ,উপজেলা নির্বাহী অফিস,ইউপি চেয়ারম্যান,মেম্বার ও সংশিষ্ট কতৃপক্ষের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ভিজিএফ কার্ডের নামের তালিকায় সঠিক ভাবে যাচাই বাচাইয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ১-২দিনের মধ্যে জেলায নামের তালিকা পাঠানো হবে। তাহিরপুর উপজেলা পিআইও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন বলেন,ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য ১৫৪০০ভিজিএফ কার্ডের জন্য নামের তালিকা তৈরী করা হয়েছে। এখন যাচাই বাছাইয়ের কাজ চলছে আজ কালের মধ্যে জেলায় পাঠানো হবে। এ কার্ডে কোন প্রকার অনিয়ম হলে এবং তা প্রমানিত হলে সাথে সাথে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল জানান,ক্ষতিগ্রস্থ হাওরবাসীর জন্য দ্রুত ত্রান সামগ্রী পাঠানো প্রয়োজন। বোরো ধান হারিয়ে কৃষক পরিবার গুলো এখন বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সংকটে ভুগছে।