ত্রাণ নয়, পরিত্রাণ চান হাওরের কৃষকরা
ত্রানের চেয়েও পরিত্রাণ জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন সুনামগঞ্জের হাওরের কৃষকরা। রোববার (১৪ মে) দুপুরে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ হাওর পরিদর্শনের সময় তাহিরপুরের গোপিনাথ নোয়াগাঁও গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা বাম নেতৃবৃন্দের কাছে এ মন্তব্য করে স্থায়ী সমাধান হিসেবে নদী খননের দাবি জানান। এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা সরকারের দেয়া ত্রাণ সহায়তা পান না জানিয়ে বলেন, অপর্যাপ্ত ত্রাণ সরকার ও জনপ্রতিনিধিদের ঘনিষ্ঠ মানুষদের দেয়া হচ্ছে। এতে করে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা বঞ্চিত হচ্ছে। আগামী ফসল উঠার আগ পর্যন্ত ব্যাংকের পাওনা আদায় বন্ধ রেখে বিনা সুদে নতুন ঋণ দেওয়া ও এনজিওদের ঋণের কিস্তি বন্ধ রাখতে সরকারের প্রতি অনুরোধ করেন।
কৃষকরা বাম মোর্চার নেতৃবৃন্দদের জানান, ইতিমধ্যে হাওর এলাকার অনেক পরিবার জীবিকার তাগিদে বাধ্য হয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলে গেছে। পরে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার আয়োজনে সুনামগঞ্জসহ ক্ষতিগ্রস্থ হাওর অঞ্চলকে দুর্গত এলাকা ঘোষণা ও হাওরবাসীর জীবন রক্ষার্থে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণের দাবিতে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। হাওর পরিদর্শন ও পরবর্তী সমাবেশে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী কমরেড জুনায়েদ সাকি, গণতন্ত্রী বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড মুশরেকা মিশু, গনতান্ত্রিক বাম মুর্চার সমন্বয়ক কমরেড ফিরোজ আহমদ, বাসদ (মার্কসবাদী) সিলেট জেলার আহবায়ক কমরেড উজ্জ্বল রায়, বাসদ নেতা অ্যাডভোকেট উজ্জ্বল রায়, প্রগতিশীল রাজনৈতিক কর্মী অ্যাডভোকেট রনেন সরকার রনি, এস এম আতিয়ার রহমান প্রমুখ।