বুড়িচংয়ে মাদ্রাসার ছাত্রকে ট্রেনের নিচে ফেলে হত্যা করার অভিযোগ
বুধবার ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল সড়কের বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর রেল স্টেশন ও সদর রসূলপুর রেল স্টেশনের মধ্যবর্তী মাধবপুর এলাকায় ট্রেনের নিচে ফেলে এক মাদ্রাসা ছাত্রকে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।উপজেলার পিতাম্বর গ্রামের সেলিম হোসেনের ছেলে এবং স্থানীয় ফকিরবাজার মাদ্রাসার ১০ম শ্রেণির ছাত্র মেহেদী হাসান তুহিনের (১৬) দ্বি খন্ডিত লাশ কুমিল্লা রেলওয়ে পুলিশ বুধবার দুপুরে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও নিহতের পিতা জানায়, জেলার বুড়িচং উপজেলার বাকশীমূল ইউনিয়নের পিতাম্বর গ্রামের মো: সেলিম হোসেনের ছেলে মো: মেহেদী হাসান তুহিন (১৬)গত দু দিন পূর্বে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। মেহেদী হাসান তুহিন স্থানীয় ফকিরবাজার ইসলামিয়া সুন্নিয়া আলিম মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্র। তিনি ২০১৮ সনে দাখিল পরীক্ষার্থী ছিলেন। তিনি বাড়িতে ফিরে না আসায় গত দু দিন তার পিতা মাতা, আত্মীয় স্বজন, তুহিনের ব্যবহৃত মোবাইলে বার বার ফোন করলেও মোবাইলে কল হলেও কেউ মোবাইল রিসিভ করেনি। মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় তারা সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোজাখোজি করে। গতকাল বুধবার সকাল ৭টার দিকে স্থানীয় লোকজন তুহিনের দ্বি খন্ডিত লাশ পড়ে থাকতে দেখে তার আত্মীয় স্বজনদেরকে খবর জানায়। তুহিনের আত্মীয় স্বজনরা ঘটনাস্থল মাধবপুরে এসে লাশ সনাক্ত করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় সূত্রে জানায়, নিহত তুহিনের সঙ্গে পাশের গ্রামের একটি মেয়ের তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ধারনা করা হচ্ছে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কেউ মেহেদী হাসান তুহিনকে দু দিন ধরে আটকে রেখে তাকে হত্যা করে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে যে কোনো সময় লাশ রেল লাইনে ফেলে রেখে যায়। কোনো এক সময় ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে নিহত তুহিনের লাশ দ্বি খন্ডিত হয়। তুহিনের লাশ দেখে স্থানীয় লোকজন আরো অভিযোগ করে বলেন, এটি একটি হত্যাকান্ড, আত্ম হত্যা নয়। এ মৃত্যুটি একটি রহস্যজনক বলে এলাকাবাসী ধারনা করেন।
খবর পেয়ে কুমিল্লা রেলওয়ে পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এস আই নজরুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে রেলওয়ে পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ নজরুল ইসলাম জানান, দুপুরে ঘটনার খবর পেয়ে নিহত মেহেদী হাসান তুহিনের লাশ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়। এটি হত্যা, না আত্মহত্যা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া স্বাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।