‘আওয়ামী লীগের রন্ধ্রে-রন্ধ্রে মোশতাকরা ঢুকে গেছে’
আওয়ামী লীগের ভেতরের চক্রান্তকারীদের বিষয়ে দলের সভাপতি শেখ হাসিনাকে সতর্ক করে দিয়েছেন ময়মনসিংহ আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল হক খোকা। শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে বর্ধিত সভায় তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের রন্ধ্রে, রন্ধ্রে খোন্দকার মোশতাক ঢুকে গেছে। নেত্রী আপনি বার বার এসব মাফ করে দেন। ফলে অপরাধীরা সাহস সঞ্চয় করে। আর মাফ করবেন না।’ সভায় বিশৃঙ্খলা নিরসনে দলীয় সভাপতির হস্তক্ষেপও কামনা করছে তৃণমূলের নেতারা। শনিবার আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় এ দাবি উঠে আসে দলটির তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্যে। সেখানে সংসদ সদস্যদের সাথে নেতা-কর্মীদের দূরুত্বের বিষয়টিও তুলে ধরেন। এ ছাড়াও নেতারা দলের ভেতরে অনুপ্রবেশকারীদের ব্যাপারে নানা অভিযোগ উত্থাপন করেন।
রংপুর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজু বলেন, ‘জেলার বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের কমিটি কীভাবে হয় আমরা জানি না। জেলা উপজেলার কমিটি ঢাকা থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আর এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে আমরা জড়িত না থাকার ফলে জামায়াত, শিবির ও বিএনপির সক্রিয় নেতাকর্মীরাও আমাদের দলের জায়গা পেয়ে যায়।’ সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদরউদ্দিন আহমেদ কামরান বলেন, ‘সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনগুলো কমিটি দেওয়ার সময়ে আমাদের অন্তর্ভুক্ত করে কমিটি দেয় না। ঢাকা থেকে কমিটি দেয় আমরা জানি না, চিনি না। আগামীতে এই ধারা অব্যাহত থাকলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে সংগঠন।’
খুলনা জেলার সভাপতি হারুন উর রশীদ বলেন, ‘আমার দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলায় সহযোগি সংগঠনের কমিটি হয় অথচ আমি জানি না। সহযোগি সংগঠন সবাই কমিটি দেন ঢাকায় বসে।’ তিনি বলেন, ‘কয়দিন আগে ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও এস এম জাকির হোসাইনের সঙ্গে কথা বলি। তারা বলেন দেখছি। এরপর আরও সময় চলে যায় এভাবে চলছে সবগুলো সহযোগী সংগঠন।’
রাজশাহী জেলার সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, ‘দ্বন্দ্ব আছে, তবে দ্বন্দ্বের কথা নয় আমি বলব ঐক্যের কথা। দ্বন্দ্ব থাকতেই পারে তবে নিরসনের উপায় বের করতে হবে। ’ বরিশাল বিভাগের পক্ষ থেকে বরিশাল জেলা শাখার সভাপতি আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমরা বরিশাল বিভাগে ঐক্যবদ্ধ। তবে কোথাও কোন বিভেদ থাকলে, ভুল বোঝাবেঝি থাকলে মীমাংসা হবে না কেন?’।