মাশরাফির আক্ষেপ
ব্যাটসম্যানদের আরেকটু স্বাধীনতা দেওয়া, সেই সঙ্গে নির্ভার থেকে খেলতে দিতেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আট ব্যাটসম্যান নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। লক্ষ্য ছিল বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়ে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলা। তামিম ইকবালের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে প্রত্যাশা অনুযায়ী না হলেও কাছাকাছি সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ। তবে নির্বিষ বোলিংয়ে ৩০৫ রান করেও শেষ পর্যন্ত আট উইকেটের হারটাই সঙ্গী হয় মাশরাফি বিন মুর্তজার দলের।
পুরো ম্যাচ জুড়েই একজন বোলারের অভাব টের পাওয়া গেছে। সঙ্গে ছিল ২০-৩০টা রান কম হওয়ার আক্ষেপও। তামিম-মুশফিকের ব্যাটিংয়ে এক সময় দলীয় রান ৩৩০ পেরোবে ভাবলেও টানা দুই বলে এ দু’জনের বিদায়ে বদলে যায় ম্যাচের পরিস্থিতি। সেই সঙ্গে শেষের দিকে রানের গতি ধীর হওয়াকেই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বললেন, ‘তিনশ রান তাড়া যে কোনো উইকেটেই একটু কঠিন। কিন্তু ইংল্যান্ডে যদি দেখেন, এখন ৩৩০-৩৪০ রান নিয়মিতই হচ্ছে। সেই রান তাড়া করে জিতেও যাচ্ছে। এজন্যই আমাদের এক দিকে যেতে হতো। আমরা ভেবেছি ব্যাটসম্যান বাড়িয়ে যদি ৩২০-৩৩০ করা যায়, তাহলে একটা পার্ট টাইম বোলার ৭০-৮০ রান দিলেও একটা-দুইটা উইকেট তুলে নিলেই জিততে পারব। আমরা কিন্তু সেই পরিকল্পনা মতোই এগোচ্ছিলাম। অন্তত ৩২০ হওয়ার কথাই ছিল। তবে তামিম ও মুশফিক এক ওভারে আউট হওয়ার পর অন্যরা শেষ দিক আরও বেশি রান করতে পারেনি।’
মূলত ব্যাটসম্যানদের আরেকটু স্বাধীনতা দিতেই আট ব্যাটসম্যান নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। তবুও শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকে আক্ষেপ করতে হচ্ছে আরও ২৫-৩০ রান বেশি না হওয়ায়। বোলার কম নিয়ে লড়াই করতে পারেনি ৩০৫ রান নিয়েও। মাশরাফি জানালেন, জেনে-বুঝেই ঝুঁকিটা নিয়েছিল দল। বাংলাদেশ অধিনায়ক বললেন, ‘আমরা জানতাম, এরকম হতে পারে। তবে আমাদের ভাবনা ছিল ব্যাটসম্যানদের আরেকটু স্বাধীনতা দেওয়া, যেন নির্ভার থেকে ভালো খেলতে পারে। বোলার অবশ্যই আরেকজন বেশি নিতে পারতাম। তবে ভাবনা এটাই ছিল। সামনে মূল বোলারদেরকে আরও ভালো করতে হবে। বাড়তি একজন বোলার নিয়েও চিন্তা করতে হবে।’
তিনশ’র বেশি রান করে এর আগে কখনও বিদেশের মাটিতে হারেনি বাংলাদেশ। হারের পেছনে অন্যতম কারণ ওই বোলিংটা চাওয়ার মত না হওয়াই। এ প্রসঙ্গে অধিনায়ক মাশরাফির ভাষ্য, ‘দ্রুত উইকেট পাওয়ার পর মাঝে উইকেট নিতে পারিনি। এটাও একটা কারণ। ওরাও খুব ভালো খেলেছে। মুস্তাফিজকে খুব ভালো সামলেছে। মাঝে উইকেট না পাওয়াতে জুটি বড় হয়ে গেছে। এই উইকেটে জিততে হলে অসাধারণ বোলিং করতে হবে, কিছুটা ভাগ্যের সহায়তাও লাগবে। কারণ, এসব উইকেটে ৩২০-৩৩০ করেও নিরাপদ থাকা মুশকিল। পাঁচ-ছয় জন জেনুইন বোলার নিয়েও হারছে দলগুলো।’