অন্যের সার্টিফিকেটেই ‘বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক’!
কুমিল্লা মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল থেকে আটক ‘ভুয়া চিকিৎসক’ অন্য একজনের সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরি ওই হাসপাতালে চাকরি করছিলেন বলে জানা গেছে। নিয়োগের সময় জমা দেয়া কাগজপত্রের মূল কপি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দেখতে চাইলে তিনি কালক্ষেপণ করতে থাকেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। পরে তার আচরণ ও চিকিৎসা কার্যক্রম সন্দেহ হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে ‘মেডিসিন বিশেষজ্ঞ’ পরিচয় দেয়া এই ব্যক্তির প্রকৃতপক্ষে কোনো চিকিৎসা সনদই নেই। আটককৃতের নাম মাহবুবুর রহমান। তিনি কুমিল্লার দাউদকান্দির মৃত আব্দুল মজিদ শিকদারের ছেলে। আটকের পর তার বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পুলিশ আদালতের মাধ্যমে তাকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করে। এ ব্যাপারে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ছালাম মিয়া বলেন, মাহবুবুর রহমানের কর্মকাণ্ড কর্তব্যরত চিকিৎসকদের সন্দেহ হলে বিষয়টি সিভিল সার্জনকে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে নগরীর লাকসাম রোড এলাকার কুমিল্লা মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল থেকে ওই ভুয়া চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়। নগরীর স্বনামধন্য একটি হাসপাতাল থেকে ভুয়া চিকিৎসক গ্রেপ্তারের ঘটনাটি বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন- এমন একটি স্বনামধন্য হাসপাতাল কী করে যাচাই-বাছাই ছাড়া ডিউটি ডাক্তার হিসেবে একজন প্রতারককে নিয়োগ দিলো?
এই বিষয়ে কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান বলেন, চিকিৎসা সেবার নামে প্রতারণা করে আসা এসব ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, একটু সময় নিয়ে হলেও তারা ভুয়া চিকিৎসককে চিহ্নিত করতে পেরেছে। ভাগ্য ভালো যে, এর মধ্যে কোনো অঘটন ঘটেনি।কুমিল্লা মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, মাহবুব গেল বছরের ১ নভ েম্বর কুমিল্লা মেডিকেল সেন্টারে ডিউটি ডাক্তার হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার লক্ষ্যে হাসপাতালে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর আবেদন করেন। আবেদনপত্রের সাথে তিনি ‘গণস্বাস্থ্য মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস উত্তীর্ণ’ হওয়ার কাগজপত্রও জমা দেন। পরবর্তীতে তাকে হাসপাতালটির জরুরী বিভাগে চিকিৎসক পদে নিয়োগ দেয়া হয়।