বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ান লেবার পার্টির সদস্য আফগানিস্তানের মেয়ে ফাতিমা পেমান। ২৭ বছর বয়সী এই তরুণী এখন অস্ট্রেলিয়ার প্রথম হিজাব পরিহিত সিনেটর হিসেবে ইতিহাসে নাম লেখালেন। সাংস্কৃতিগতভাবে ভিন্ন একাধিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করার রেকর্ড রয়েছে ফাতিমার। তিনি বরাবর শ্রমিক-শ্রেণির পক্ষে কথা বলে এসেছেন, কারণ তিনি নিজেও সেই সম্প্রদায়ের অন্তর্গত। তার বাবা একসময় ট্যাক্সি চালিয়ে সংসারের ব্যয়ভার বহন করতেন। ফাতিমার বাবাই তাকে রাজনীতিতে আসতে উৎসাহিত করেছিলেন। একসময় তাঁর বাবা ভেবেছিলেন অস্ট্রেলিয়ায় হয়তো ফাতিমা সেরকম কোনো সুযোগ পাবে না। পরিবর্তে আফগানিস্তানের মানুষের জীবন উন্নত করতে তাঁর সেদেশে ফিরে যাওয়া উচিত। ফাতিমার বাবা আজ বেঁচে নেই। বেঁচে থাকলে হয়তো ফাতিমার সিনেটর হিসেবে নির্বাচনের পর তাকে নিয়ে খুব গর্বিত হতেন।
২৭ বছরের তরুণীর মা কাঁদতে কাঁদতে একথা জানান। ফাতিমা নিজেকে আধুনিক অস্ট্রেলিয়ার একজন প্রগতিশীল প্রতিনিধি হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি বিবিসিকে বলেন, ” মাথায় স্কার্ফ পরিধান করার জন্য আমি আলাদা কোনো ব্যবহার আশা করি না, কারণ আমি অন্যান্য সিনেটরদের মতোই একজন অস্ট্রেলিয়ান। “তরুণ সিনেটর বলেছিলেন যে তিনি সচেতন যে লোকেরা তার প্রতি উচ্চ আশাবাদী। তিনি এমন একটি দিন দেখতে চান যখন হিজাব পরা এমপি এবং সিনেটরদের নিয়ে কোনো শিরোনাম তৈরী হবে না। গার্ডিয়ান অনুসারে, তিনি গত সপ্তাহে তার প্রথম সংসদ ভাষণে বলেছিলেন ”আমি আশা করি না যে লোকেরা আমার স্কার্ফ পরা নিয়ে বিচার করবে। আমি চাই যে অল্পবয়সী মেয়েরা গর্বের সঙ্গেই হিজাব পরার সিদ্ধান্ত নিক। কারণ এটা তাঁর অধিকারের মধ্যে পড়ে।”
সূত্র : moneycontrol.com
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
৯০ বার